পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৬৫৩

“কল্পদ্রুম” নামক আর একখানি মাসিকও ইনি প্রকাশ করেন। ইনি অতিশয় শ্রমশীল ছিলেন। ব্রাক্ষণ-পণ্ডিত হইলেও ইনি কখনও কাহারও নিকট বিদায় বা বৃত্তি গ্রহণ করেন নাই। ইঁহার নিজব্যয়ে একটি বিদ্যালয় সংস্থাপিত হয়। স্বাস্থ্যের জন্য ইনি সাতারা নগরে যান। সেইখানে ১২৯১ সালে ৮ই ভাদ্র তারিখে বিস্ফোটক রোগে ইঁহার মৃত্যু হয়।

রামমোহন রায়।

 আধুনিক ব্রাহ্মধর্ম্মের প্রবর্ত্তক। ১৭৭৪ খৃষ্টাব্দে হুগলি জেলার অন্তঃপাতী রাধানগর গ্রামে ইঁহার জন্ম হয়। গ্রাম্য পাঠশালায় তৎকাল প্রচলিত বাঙ্গালা বিদ্যা শিক্ষা করিয়া ইনি আরবী ও পারশী শিক্ষার নিমিত্ত পাটনায় গমন করেন এবং অল্পকাল মধ্যেই ঐ দুই ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া সংস্কৃত শিখিবার জন্য কাশীতে গমন করেন। অসাধারণ মেধা ও পরিশ্রমের গুণে রামমোহন উক্ত ভাষাতেও বিলক্ষণ জ্ঞান লাভ করিলেন। এই সময়ে তাঁহার বয়ঃক্রম যোড়শ বর্ষ মাত্র।

 অতঃপর রামমোহন স্বদেশে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন এবং প্রচলিত পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে স্বীর মত খ্যাপন করিতে লাগিলেন। এই সময়ে ইনি তৎসম্বন্ধে একখানি গ্রন্থও রচনা করেন। ইহাতে আত্মীয় স্বজনের সহিত ইঁহার মনোবাদ উপস্থিত হওয়ায় ইনি গৃহত্যাগ করিলেন এবং ধর্ম্মতত্ত্ব-জিজ্ঞাসু হইয়া নানাস্থানে ভ্রমণ করিতে করিতে তিব্বতে উপস্থিত হইলেন। কিন্তু তথায় বৌদ্ধদিগের