পাতা:বিদ্যাসাগর জীবনচরিত - শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চাকরি।
১১৫

সুপ্রসিদ্ধ; এই কারণে অগ্রজ মহাশয়, নন্দকুমার ন্যায়চঞ্চুকে পরম সমাদরে গ্রহণ করিয়া, কোন উচ্চপদ শূন্য না থাকায়, অগত্যা একটি ৩০৲ টাকা বেতনের পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত করিলেন। ইনি সংস্কৃত-কলেজের ছাত্র ছিলেন না; একারণ, শিক্ষা বিভাগের ডাইরেক্‌টার ইয়ং সাহেবের নানা আপত্তি খণ্ডন করিয়া, আপাততঃ কিছুকালের জন্য ঐ পদে রাখিলেন। কিন্তু সংস্কৃত-বিদ্যালয়ে পূজ্যপাদ জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানন মহাশয়ের সহিত বিচার হওয়ায়, নন্দকুমার ন্যায়চঞ্চু উৎকৃষ্ট সাব্যস্ত হন। পরে পাইকপাড়ার রাজা প্রতাপনারায়ণ সিংহ ও রাজা ঈশ্বরনারায়ণ সিংহের কান্দীগ্রামে তাঁহাদের স্থাপিত বিদ্যালয়ে ৮০৲ টাকা বেতনে ন্যায়চঞ্চুকে নিযুক্ত করিয়া পাঠান। কয়েক বৎসর পরে তিনি জ্বরকাশ-রোগে আক্রান্ত হইলে, অগ্রজ মহাশয় তাঁহাকে কলিকাতায় আনাইয়া, তৎকালের বিখ্যাত ডাক্তার গুডিড্‌ সাহেব প্রভৃতি চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করান। ঐ রোগেই তাঁহার মৃত্যু হইলে পর, তাহার জননী-দেবীর, পত্নীর এবং নাবালক সহোদরগণের ভরণপোষণ ও তাহাদের বিদ্যানুশীলনাদির সমুদয় ব্যয় নির্ব্বাহ করিয়াছিলেন ও আবশ্যকমত সময়ে সময়ে নিজে তত্ত্বাবধান করিতেন। এমন কি, তাহার ভ্রাতৃবর্গকে সহোদর-নির্ব্বিশেষে তত্ত্বাবধান করিয়া আসিয়াছেন। এক্ষণে, রঘুনাথ ভট্টাচার্য্য, যদুনাথ ভট্টাচার্য্য়, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও মেঘনাদ ভট্টাচার্য্য, নন্দকুমার ন্যায়চক্ষুর এই চারি সহোদর, পৈতৃক পদমর্য্যাদা বজায় রাখিয়া, সাংসারিক কার্য্য সমাধ করিতেছেন।