পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।

মনো শুর বঙ্গ. মজদুরদের জন্য বহু নাইটস্কুল বা নৈশবিদ্যালয় গড়ে ন। এই পথে তিনি প্রথমে পি মিত্র এবং পরে বাঘা ও যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে আসেন। তাঁর হল প্রচারিত না হলেও যথেষ্ট প্রয়োজনীয় ছিল। যাই এই বহুমুখী স্রোত বাঙ্গলার দিকে দিকে প্রবাহিত অন্তরে অন্তরে ফল্গু-স্রোতের মতই এক মুখী হয়ে বাইত হচ্ছিল। সে পথ বিপ্লবের পথ। ১৯০৫ ভঙ্গ রোধ আন্দোলন এই বহু মুখী স্রোতকে সংহত ও একমুখী করে দিল। ১৯০৫ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত এই আন্দোলন পূরামাত্রায় চলল। তারপর ১৯০৮ সালের ক্রিমিন্যাল ল' এমেণ্ডমেন্ট এ্যাক্টের সাহায্যে সমিতি দলন সুরু হল। কিন্তু ইতিমধ্যেই বাঙ্গলার জেলায় জেলায় সমিতি গঠন শুরু হয়ে গেছে। উত্তর বঙ্গে যতীন রায়ের নেতৃত্বে এক দল, ময়মনসিংহের হেমেন্দ্রকিশোর আচার্যের নেতৃত্বে সুহৃদ ও সাধনা সমিতি, বরিশালে অশ্বিনী দত্ত ও সতীশ মুখার্জীর (পরে যিনি প্রজ্ঞানন্দ সরস্বতী নামে খ্যাত) নেতৃত্বে স্বদেশ বান্ধব সমিতি এবং পূর্ববঙ্গের প্রায় প্রতি জেলায় অনুশীলন সমিতির শাখা প্রশাখা গড়ে উঠেছে। অরবিন্দ ঘোষ ও তাঁর ছোট ভাই বারীন্দ্রের শৈশব কেটেছে ইংলণ্ডে। ইংলণ্ডে তাঁরা মানুষ হয়েছেন, ভাল বাঙ্গলা জানেন না। এঁরা ভারতে এসে রইলেন বরোদায়। বরোদায় অরবিন্দ শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু মনে মনে এঁরা ইতিমধ্যেই বিপ্লবের