পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পৃথিবীর ইতিহাস, রাজনীতি, বিপ্লব আন্দোলন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হত। তাছাড়া সেখানে একটি ব্যায়াম কেন্দ্র ছিল। এই ব্যায়াম কেন্দ্রে শরীর চর্চা ছাড়া লাঠি-ছোরা খেলা, শিকার করা, বন্দুক ছোঁড়া প্রভৃতি শেখাবার ব্যবস্থা ছিল। এই সকল বিষয়েই উদ্যোগী ছিলেন চারুবাবু নিজে। এঁরই আদর্শে ও অনুপ্রেরণায় বহু যুবক উদ্বুদ্ধ হতেন। কানাইলালও চারুবাবুর প্রথম স্বদেশী মন্ত্রে দীক্ষিত হলেন। ইতিহাস, রাজনীতি প্রভৃতি আলোচনার মধ্যে কানাইয়ের প্রিয় ছিল রুশিয়ার নিহিলিষ্ট আন্দোলন ও আয়ার্লণ্ডের বিপ্লবের ইতিহাস। ব্যায়াম চর্চার মধ্যে মুষ্টিযুদ্ধে কানাই সবচেয়ে দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। মুষ্টিযুদ্ধে তাঁর কিরূপ দখল ছিল তার পরিচয় নিম্নের ঘটনায় পাওয়া যাবে।

 কানাইলাল যে ঘরে শুতেন সে ঘরের দক্ষিণ দিকে একটা গণিকা পল্লী ছিল। সেখানে প্রতি-রাত্রে হাঙ্গামা হত। আশপাশের ভদ্রলোকদের নিয়ত অশান্তি ও অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল ঐ পল্লীটি। গঙ্গার ধারে যেসব চটকল ছিল তার উচ্চপদস্থ কয়েকজন সাহেব কর্মচারীরও নিত্য আগমন ছিল ঐ পল্লীতে। তারা অনেক রাত পর্যন্ত মদ খেয়ে রাস্তায় অশ্লীল আচরণ ও হল্লা করে বেড়াত। সাহেবকে ভয় করাই তখন রীতি। প্রতিবাদ করবার সাহস কারও ছিল না। কিন্তু দিন দিন কানাইলালের কাছে ব্যপারটা অসহ্য হয়ে উঠতে লাগল। একদিন সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেল। সেদিন রাতে

১৯