পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কর্মচারীরা ধর্মঘট করে। এখনকার ধর্মঘটের হিড়িকের দিনে হয়ত হৃদয়ঙ্গম করা যাবে না এই ধর্মঘটের গুরুত্ব কতখানি। সেই প্রথম, অত্যাচারিত, হতচেতন, দেশবাসী বিদেশী বণিক শাসকের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছিল মিলিত প্রতিবাদ। যে বিদেশী শাসক তাদের সাম্রাজ্যের বুনিয়াদ পাকা করে রাখবার জন্যে, গোলামী কররার জন্যে, ইংরাজী শিক্ষা দিয়ে সৃষ্টি করেছিল কেরাণীর দল, সেই কেরাণীরাই ধর্মঘট ঘোষণা করে প্রথম প্রত্যুত্তর দিয়েছিল সেই কারসাজির! কিন্তু এত লোকের অন্ন সংস্থান করা বড় সোজা কথা নয়। তাদের প্রত্যেকের সংসার আছে, পোষ্য আছে বহু। কাজেই সহৃদয় দেশবাসী তাদের সাহায্যের জন্য এক ভাণ্ডার স্থাপন করে। কানাইলাল চারুবাবুর নেতৃত্বে চন্দননগরে এক সাহায্য ভাণ্ডার খুলে সেখানে টাকা তোলবার কাজে আত্মনিয়োগ করলেন! আবার বঙ্গ-ভঙ্গ-রোধকল্পে রবীন্দ্রনাথ, সুরেন্দ্রনাথ প্রমুখ নেতারা যখন রাখীবন্ধনের প্রস্তাব ঘোষণা করলেন, তখন চন্দননগরে এই উৎসব সমাধা করবার জন্যে পুরোভাগে দেখা গেল কানাইলালকে। ১৯০৭ সালে মাঘ মাসে এক অর্ধোদয় যোগ হয়। স্নানার্থীদের সাহায্যের জন্য সর্বত্র সেবক দল সংগঠিত হয়। এই সেবক সঙ্ঘ দল সংগঠনের প্রেরণা পাওয়া গিয়েছিল কানাইলালের কাছ থেকে। কানাইলালই পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ত্রিবেণী স্নানঘাটে স্নানার্থীদের সুখ-সুবিধার জন্য এক সেবক-সঙ্ঘ সংগঠিত করেন। অর্ধোদয় যোগের

২২