পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সমিতিতে মন টেনেছিল। ব্রহ্মবান্ধব মানুষটি ছিলেন অতি বিচিত্র। তিনি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন। তারপর ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সিন্ধু প্রদেশে যান। সেখানে নিজেই আবার ধর্ম পরিবর্তন করে খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং খৃষ্টধর্ম থেকে আবার পরবর্তী জীবনে বৈদান্তিক সন্ন্যাসী হয়ে পড়েন। তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা ‘সন্ধ্যা’ যুবক মহলে সন্ত্রাসবাদের ইন্ধন জোগাতো সন্দেহ নেই, কিন্তু তাঁর সারস্বত আয়তন স্থাপনায় যুবকদের সমর্থন পাওয়া যায় নি। আসলে চন্দননগরে প্রথম বিপ্লবী দলের পত্তন হয় অধ্যাপক চারু রায়ের নেতৃত্বে ব্যায়াম চর্চা কেন্দ্রে এবং পরবর্তী কালে কানাইলাল একা চন্দননগরেই ছয় সাতটি সমিতির শাখা স্থাপন করেন। এই বিষয়ে তাঁকে সাহায্য করেন শিক্ষক উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছাত্র বন্ধু মতিলাল রায় প্রমুখগণ। তবে একথাটাও মনে রাখতে হবে যে কানাইলাল যে সমস্ত শাখা স্থাপন করেন তার অন্তরে যাই থাক, বাইরে থেকে লোকে জানতো এগুলি ব্যায়াম চর্চার কেন্দ্র কিংবা আলোচনার কেন্দ্র ছাড়া কিছু নয়। মূল কেন্দ্র ছিল কানাইলালের বাড়ীতে। সেখানে খুব লাঠি খেলা হত। মার্তাজা নামে একজন লাঠিয়াল লাঠি খেলা শেখাতো। কানাইলাল মার্তাজার কাছে খুব পাকা লাঠি খেলা শিখেছিলেন। কানাইলালের দেখাদেখি বহু যুবক লাঠি খেলায় উৎসাহী হয়ে ওঠে। অবশ্য তখনকার যুগে ভদ্রলোকের ছেলে

৩১