পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাওয়া মাত্র বারীনকে ডেকে এনে আদেশ দিলেন, দলের সকলকে এ সংবাদ জানাতে আর সকলকে আডডা থেকে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে দিতে। কিন্তু কোন আদেশই পালন করা তার ধাতে সয় না। তাই কাউকে কোন খবর না দিয়ে মাণিকতলার আডডায় গিয়ে বন্দুক, রিভলভার, গুলি, সেল ইত্যাদি পুতে ফেলতে সে হুকুম দিয়েছিল। আদেশ অনুযায়ী রাত ১২ টা পর্যন্ত ঐ সকল জিনিসের ওপর দুটি দুটি মাটি ঢাকা দেওয়া হয়েছিল। ঐ সময় নাকি পুলিসের কে একজন এসে এই রকম ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, ‘সকালে অনেক পুলিস আসলে সাবধান।’ একথা গ্রাহ্যের মধ্যেই আসে নি। এদিকে হ্যারিসন রোডের উক্ত বামাল পূর্ণ বাক্সগুলোও সরান হল না। আমিও রাত পর্যন্ত কোন খবর না পেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে নিশ্চিন্ত হলাম।’

 সর্বত্রই একটা ঢিলে ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সঙ্কল্পের তীব্রতার অভাব যেন প্রতিপদে। মারাত্মক ভুল করেছিলেন ক্ষুদিরাম। অনেকটা তারই অসাবধানতার জন্যেই পুলিস ব্যাপারটা জানতে পেরে গেল। হেমচন্দ্র লিখছেন—‘বোম ফাটলে রিভলভার ফেলে দেবার কথা ছিল; তাও দেয় নি। উভয়ের, বিশেষ করে ক্ষুদিরামের ঐ জিনিষটার ওপর একটা অত্যধিক অনুরাগ ছিল। একটা রিভলভার পাবার জন্য সে বহুবার সাধ্য-সাধনা করেছিল; পাছে অপব্যবহার করে, এই ভয়ে তা দেওয়া হয় নি। মজফরপুরে যাবার দিন দুজনেই

৬০