পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अग्र ७ भृङ्क כלכלא ন—এরপর আর সময় পাবে ? --কি-কি-আবার মরছে ডেকে ছোট বেী—মাগো, হাড় জালালে—বস্তে দেয় না একরৰ্ত্তি—এই তো আসছি ভাড়ার ঘর থেকে— একটি সতরো-আঠারো বছরের সুন্দরী মেয়ে দালানে ঢুকবার দরজার এক পাশে একটা স্টেভি ধরাবার চেষ্টা করছে—আমি পাশ কাটিয়ে দালানের মধ্যে ঢুকে দেখি—মেজ ছেলে বীরেশ্বর ও তার বৌয়ে ঝগড়া হচ্ছে। মেজ ছেলে কোন জমিদারী স্টেটের ম্যানেজার, বয়েস পঞ্চাশের ওপর—তার স্ত্রীকে আগে কৃশাঙ্গী দেখেছি, আজি আট ন বছর দেখিনি— এত মোটা হয়েছেন যে এর মধ্যে প্রথমটা যেন চিনতেই পারি না । হাতে মোটা সোনার বালী ও অনস্ত, গলায় ছিকলি হার । তিনি স্বামীকে বলছেন—ও ঘরে আমি থাকতে পারব না, এই ভিড়, তাতে ও ঘরে খিল নেই। আমীর মেয়ের গায়ে এক-গা গয়না, কাজের বাড়ী, লোকের ভিড়—বিশ্বাস আছে কাউকে—তাতে এই পাড়াগা জায়গা ? বাবা, ভালোয় ভালোয় কাজ মিটিয়ে এখন এখান থেকে বেরুতে পারলে বাচি । কাল সারারাত মশায় খেয়েছে । বীরেশ্বর বলচে, তা তুমি তোমার মেয়েকে নিয়ে না হয় পশ্চিমের কোঠায় শুয়ো—মাথা গরম কোরো না, দোহাই তোমার—তোমার মাথা গরম আমার বরদাস্ত হয় না বাপু— আমি ঢুকে পায়ের ধুলো নিয়ে প্রণাম করে বললুম-চিনতে পারেন কাকীমা ? তিনি কথার উত্তর দেবার পূর্বেই এগারো বারে বছরের একটি মেয়ে কোথা থেকে ছুটে এসে বললে—নাথনি এখনও পিন্টকে দুধ খাওয়ায়নি মা—সকাল থেকে তাকে নিয়ে বাইরের উঠোনে বসে আছে—বললেও শুনচে না— বীরেশ্বর বললে—যা এখন যা, বলগে যা নাথ নিকে—আমি ডাকছি। এসে কুঞ্জ বসে । ওগো তুমি কুঞ্জকে চিনতে ..রলে না ? বীরেশ্বরের স্ত্রী মৃদু হাস্তে বললে—দেখেছি বোধ হয় ওকে ছেলেবেলায়, যাতায়াত নেই— দেখাশুনো তো হয় না, না-চিনবার আর দোষ কি বল ? শাশুড়ী মারা না গেলে কি এখন আসা হ’ত ? চিঠি পেয়ে আমি বলি–না যেতে হবে বই কি, দেশে একটা মানখাতির আছে। শাশুড়ীর কাজটা ভালো করে না করলে লোকে ওঁদেরই দুষবে। বট ঠাকুরের পয়সা নেই সবাই জানে। ওঁদের গায়ে-ঘরে নাম রয়েছে, দেশে-বিদেশে সবাই মানে, চেনে, বলবে—অমুক বাবুর মায়ের শ্রান্ধে কিছু করেনি, বলত বাবা, কথাটা কি শুনতে ভালো ? 尚 脚 * 冷 瞬 昭 তাই তো এলুম নইলে এসব জায়গায় কি মানুষ আসে ? কি মশা ! কাল রাত্তিরে একদণ্ড চক্ষের পাতা বুজতে দেয়নি। রোরাকের ধারে বসে মেজ ভাইয়ের ছেলে বিকাশ তাদের স্কুল কি ভাবে একটা ফুটবল- “ ম্যাচ, জিতেছে, মহা-উৎসাহে সে গল্প করছে সেজ ভাইয়ের ছেলে বিস্তুর কাছে। বড় ভাইয়ের ছেলে ভোলা অবাক্ দৃষ্টিতে,ওদের মুখের দিকে চেয়ে এক মনে গল্প শুনছে। তার বয়েস ওদের চেয়ে যদিও বেশি, কিন্তু জীবনে কখনো লে গল্পের আপার প্রাইমারী পাঠশালা ছাড়া অঞ্চ স্কুলের মুখ দেখেনি। এদের কাছে সে সৰ্ব্বদা কুষ্ঠিত হয়ে আছে। শুধু ভোলা