পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প বাংলাদেশে বিভতিভষণের চেয়ে শক্তিমান লেখকের অভাব নাই, কিন্তু একমাত্র শরৎচন্দ্রকে বাদ দিলে এমন জনপ্রিয় ও তৃপ্তিদায়ক লেখক আর আছেন কি না সন্দেহ। ইহার কারণ, তাঁহার অপ (তাঁহার সন্ট সব চরিত্রই অপবিম্ভর অপর রূপান্তর), আমাদেরই বিস্মত শৈশব। তাঁহার নিশ্চিন্দিপাের আমাদেরই ছাড়িয়া-আসা গ্রাম, তাঁহার রচনা সেই গ্রামেরই মানসযাত্রার পথ ; আর স্বয়ং বিভতিভীষণ, তাঁহার রচনা পড়িতে পড়িতে ভলিয়া যাই যে তিনি একজন লেখক, মনে হয় তিনি যেন আমাদের শৈশবের বিস্মতপ্রায় খেলার সাথী, মনে হয়। তিনি যেন আমাদের পবিজন্মের বিস্মত খেলার সঙ্গী। তাই তাঁহার সন্ট চরিত্র, তাঁহার অঙ্কিত পল্লীপ্রকৃতি, তাঁহার রচনা, এবং স্বয়ং লেখক-মানষেটি আমাদের এমন মগধ করে, তৃপ্তিদান করে, আমাদের বিস্মত শৈশবকে জাগাইয়া দিয়া পনরায় সেদিনকার খেলাঘরে এমন অনায়াস আন্তরিকতার সহিত আহবান করে। আমার মনে হয়, এখানেই তাঁহার জনপ্রিয়তার রহস্যের মািল। এমন কথা কয়জন সাহিত্যিক সম্পবন্ধে বলিতে পারা যায়? সাহিত্যসভায় তিনি যোগ্য আসন পাইবেন কি না জানি না, কিন্তু এ কথা নিশ্চিত যে, এই সদার-খেলাড়ির গলায় বনফলের মালা পরাইয়া দিতে অন্য খেলড়িগণ দ্বিধামাত্র করিবে না। ଵିଅନ୍ତଃସ୍ଵାସ୍ ଵି