NSO বিভতিভাষণের শ্রেণীঠ গলপ বোস গিন্নী বলছিলেন—আর বাপ দিচ্ছি। তো রোজই, আমার গাছের কাঁটাল খেয়েই তো মানষ, আমাদের যখন কাঁটাল পাড়ানো হয়, ছেলেমেয়োগলো। হ্যাংলার মত তলায় দাঁড়িয়ে থাকে-ঘেয়ো কি ভয়ো এক-আধখানা যদি থাকে, তো বলি যা নিয়ে যা। তোদের নেই, যা খেগে যা ! তা কি পোড়ার মাখে কোনদিন সবাক্যে আছে ? ওমা, আজ আমার মেয়ে দটো লেব, তুলতে গিয়েছে ডোবার ধারের গাছে, তো বলে কিনা রোজ রোজ লেব, তুলতে আসে, যেন সরকারী গাছ পড়ে রয়েছে আর কি-চব্বিশ ঝাড়ি কথা শনিয়ে দিলে মািটর মা । আচ্ছা বলো তো তোমরাই মশািটর মা-যাঁকে উদ্দেশ্য করে একথা বলা হচ্ছিল, তিনি এদের মজলিসে কেবল আজই অনপস্হিত আছেন। নইলে রোজই এসে থাকেন। তাঁর অন্যােপস্হিতির সংযোগ গ্রহণ করে সবাই তাঁর চালচলন, ধরণ-ধারণ, রীতিনীতির নানারাপ সমালোচনা করলে । প্রিয় মািখয্যের মেয়ে শান্তি-ষোল-সতেরো বছরের কুমারী-তার মায়ের বয়সী মণটর মারা সম্পবন্ধে অমনি বলে বসলো-ওঃ, সে কথা আর বোলো না। খড়ীমা, কি ব্যাপক মেয়েমানষে ঐ মণ্টর মা ! ঢের ঢের মেয়েমানষে দেখোঁচ, অমনি লঙ্কাপোড়া ব্যাপক যদি কোথাও দেখে থাকি, ক্ষরে নমস্কার, বাবা বাবা ! ছোট মেয়ের ঐ জ্যাঠাম কথার জন্যে তাকে কেউ বাকল না বা শাসন করলে না। বরং কথাটা সকলেই উপভোগ করলে । তারপর কথাটার স্রোত আরও কতদার গড়াতো বলা যায় না। এমন সময় রায় বাড়ীর বৌ হঠাৎ মনে-পড়ার ভঙ্গীতে বল্লেন-হ্যা, একটা মজার কথা শোন নি বঝি ? শ্ৰীপতি যে বিয়ে করেচে, বটঠাকুরের কাছে চিঠি এসেচে, শ্ৰীপতির মামা লিখেচে । সকলে সমস্বরে বলে উঠলো-শ্রীপতি বিয়ে করেচে। তারপর সকলেই একসঙ্গে নানারপ প্রশন করতে লাগলো । -কোথায়, কোথায় ? -कgद ठेठ qब्न ? --তবে যে শািনলাম শ্ৰীপতি বিয়ে করবে না বলেচে । শ্ৰীপতি বিয়ের খবরে অনেকেই যেন একটা দমে গেল। খবরটা তেমন শাভ নয় । কারো উন্নতির সংবাদ এদের পক্ষে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করা অসম্পভব । তাদের যখন উন্নতি হলো না তখন অপরের উন্নতি হবে কেন ? কিন্তু এর পরেই যখন রায় বোঁ মািখ টিপে হেসে আস্তে আস্তে বল্লেন-বোটি নাকি বামনের মেয়ে নয়-তখন সকলে খাড়া হয়ে সটান উঠে বসলো, তাদের মন-মরা ভাবটা এক মহন্তে গেল কেটে । একটা বেশ সরস ও মাখরোচক পরনিন্দা ও ঘোঁটের আভাস এরা পেলে, রায় বৌয়ের চাপা ঠোঁটের হাসি থেকে । শান্তি উৎসক চোখে চেয়ে হাসিমখে বল্লে-ভেতরে তাহলে অনেকখানি কথা আছে । বোস গিনি বল্পেন-তাই বল! নইলে এমনি কোথা কিছ নয় শ্ৰীপতি বিয়ে