পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ . যথার্থ জ্ঞান অর্থধার্থ জ্ঞানের এবং তৎকার্যের নিবৰ্ত্তক হইতে পারে, যথার্থ বা সভ্য বস্তুর নিবৰ্ত্তক হইতে পারে না। রজু-জ্ঞান পরিকল্পিত সৰ্পের নিবৰ্ত্তক হয়, সুবর্ণ-জ্ঞান কুগুলারি নিবৰ্ত্তক হয় না । একত্ব এান দ্বারা নানাত্ব নিবৰ্ত্তিত না হইলে মোক্ষাবস্থাতেও বন্ধনাবস্থার স্তার নানাত্ব থাকিবে । সুতরাং মুক্তিই श्हेtष्ठ १itरद्र नt । বৈষ্ণবাচার্য্যগণ যেরূপ বিশিষ্টাদ্বৈতবাণী, ভদ্রুপ শৈবাচাৰ্য্যগণ আবার বিশিষ্ট শিবাদ্বৈতবাদী; উহাদের মত এই যে,চিৎ ও অচিৎ অর্থাৎ জীব ও জড়রূপ প্রপঞ্চবিশিষ্ট আত্মা শিব অদ্বিতীয় । डिनिझे कांद्र५, श्रांद्र डिनिहे कार्षी, हेशंद्रहे मांभ विशिष्टे শিবাদ্বৈত। চিচি সমস্ত প্রপঞ্চই শিবনামক ব্রহ্মের শরীর। তিনি জীবের দ্যায় শরীরী হইলেও জীবের স্তায় ছুঃথভোক্তা নছেন। অনিষ্টভোগের প্রতি শরীরসম্বন্ধ কারণ নহে। অর্থাৎ শরীরী হইলেই যে অনিষ্ট ভোগ করিতে হইবে, ইহার কোন কারণ নাই, পরাধীনতা অনিষ্ট ভোগের কারণ। রাজপুরুষ রাজপরাধীন, তাহার রাজার আজ্ঞার অনুবর্তন না করিলে অনিষ্ট ফল ভোগ করে। রাজ পরাধীন নহে, স্বাধীন। তিনি শরীরী হইলেও নিজের আজ্ঞার অমুবৰ্ত্তন জন্য অনিষ্ট ভোগ করেন না। জীব ঈশ্বরপরবশ । ঈশ্বরের আজ্ঞার অসুবৰ্ত্তন না করিলে তাহাদিগকে অনিষ্ট ভোগ করিতে হয় । ঈশ্বর স্বাধীন, এই জন্য তাহার অনিষ্ট ভোগ নাই । শরীর ও শরীরীর স্তায় গুণ ও গুণীর স্তায় বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ শৈবাচার্যাদিগের অসুমত । মৃত্তিকা ও ঘটের দ্যায়, কাৰ্য্যকারণরূপে এবং গুণ ও গুণীর লুtয় বিশেষণ বিশেষ্যরূপে বিনাভাবরাহিত্যই প্রপঞ্চ ও ব্রহ্মের অনস্তত্ব। যেমন উপাদান কারণ ব্যতিরেকে কাৰ্য্যের ভাব অর্থাৎ সত্তা থাকে না,মূৰ্ত্তিক ব্যতিরেকে ঘট থাকে না, সুবর্ণ ব্যতিরেকে কুগুল থাকে না, গুণী ব্যতিরেকে গুণ থাকে না, সেইরূপ ব্ৰহ্ম ব্যতিরেকে প্রপঞ্চ শক্তি থাকে না । ঔঞ্চ ব্যতিরেকে যেমন বহ্নি জানিবার উপায় নাই, সেইরূপ শক্তি ব্যতিরেকে ব্ৰহ্মকে জানা যাইতে পারে মা । যাহা ভিন্ন যাহাকে জানা যায় না,সে তদ্বিশিষ্ট । গুণ ভিন্ন গুণীকে জানা যায় না, সুতরাং গুণী গুণবিশিষ্ট । প্রপঞ্চ শক্তি ভিন্ন ব্রহ্মকে জানা যায় না, এই জন্ত ব্ৰহ্ম প্রপঞ্চশক্তিবিশিষ্ট। ইহা তাহার স্বভাব। প্রপঞ্চ ও ব্রহ্মের ভেদ স্বাভাবিক । দেবতা এবং যোগিগণ যেমন কারণাস্তরনিরপেক্ষ হইয়াও অচিন্ত্য শক্তিপ্রভাবে নানারূপ স্থষ্টি করিতে পারেন, ব্ৰহ্মও সেইরূপ অচিন্ত্য শক্তি প্রভাবে নানারূপে পরিণত হইতে পারেন। নানারূপে পরিণত হইলেও র্তাহার একত্ব বিলুপ্ত বা বিকারিত্ব হয় না । অচিস্ত্য অনন্ত বিচিত্র শক্তি ব্রহ্মে অবস্থিত । সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বরের কিছুই অসাধ্য এবং অসম্ভব হয় না। [ २७ ] . বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ অতএব ইহা সম্ভব ; ইছ অসম্ভব এইরূপ বিচার পরমেশ্বক্স বিষয়ে হইতেই পারে না । লৌকিক প্রমাণদ্বারা যে সকল বস্তু অবগত হওয়া যায়, পরমেশ্বর তৎসমস্ত হইতে বিজাতীয় । তিনি কেবল মাত্র শাস্ত্রগম্য। শাস্ত্রে তিনি যেরূপ উপদিষ্ট হইয়াছেন, তিনি যে সেইরূপ, এ বিষয়ে সন্দেহ হইতে পারে না। লৌকিক দৃষ্টান্তানুসারে তদ্বিযয়ে বিরোধীশঙ্কা কৰ্ত্তব্য নহে। কেননা তিনি লোকাতীত বা অলৌকিক । অলৌকিক পরমেশ্বরের বিষয়ে লৌকিক দৃষ্টাস্তের কিছুমাত্র কাৰ্য্যকারিত থাকিতে পারে না । ইহা অনায়াসেই বুঝিতে পারা যায়। পরমেশ্বশ্নের মায়াশক্তি অচিন্ত্য অনন্ত বিচিত্রশক্তিযুক্ত । তথাবিধ শক্তিযুক্ত মায়াশক্তিবিশিষ্ট পরমেশ্বর নিজ শক্তির অংশস্বীর প্রপঞ্চাকারে পরিণত এবং স্বতঃ বা স্বয়ং প্রপঞ্চাতীত । ব্ৰহ্ম প্রপঞ্চাকারে পরিণত হন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাস্ত হইতে পারে যে, কুৎস্ব অর্থাৎ সমস্ত ব্ৰহ্ম প্রপঞ্চাকারে পরিণত হন, কি ব্রহ্মের একদেশ বা একাংশ প্রপঞ্চাকারে পরিণত হয়। ইহার উত্তরে যদি বলা হয় যে, কৃৎম ব্ৰহ্ম জগদাকারে অর্থাৎ কাৰ্য্যাকারে পরিণত হন, তাহা হইলে মূলোচ্ছেদ হইয় পড়ে। এবং ব্রহ্মের দ্রষ্টব্যত্ব উপদেশ ও তাহার উপায়রূপে শ্রবণ মননাদি ও শমদমাদির উপদেশ অনর্থক হয়। কেননা কৃতঘ্ন পরিণাম পক্ষে কাৰ্য্যাতিরিক্ত ব্ৰহ্ম নাই। কার্য অযত্নকৃষ্ট, তাহার দর্শনের উপদেশ অনাবশ্বক। তজ্জন্ত শ্রবণমননাদি বা শৰ্মদমাদিও অনাবশ্বক। বরং সমস্ত কার্য দেখিবার জন্য পদার্থতত্ত্বের আলোচনা এবং দেশ ভ্রমণাদি কৰ্ত্তব্য হইতে পারে। সাধনসম্পত্ত্বি প্রত্যুত ইহার বিরোধী হইয়া থাকে। ব্ৰহ্ম যদি মৃদাদির স্তায় সাবয়ব হইতেন, তবে তাহার একদেশ কার্য্যাকারে পরিণত এবং একদেশ যথাবদবস্থিত,এরূপ কল্পনা করা যাইতে পারিত। তাহা হইলে দ্রব্যাদিরও উপদেশ সার্থক হইত। কেননা কাৰ্য্যাকারে পরিণত ব্ৰহ্মাণ অনুষ্ঠ হইলেও অপরিণত ব্ৰক্ষাংশ অযত্নদৃষ্ট নহে। ব্রহ্মের কিন্তু অবয়ব স্বীকার করা যায় না, কারণ ব্ৰহ্ম নিববয়ব ইহা শ্রতিসিদ্ধি। ব্রহ্মের অবয়ব স্বীকার করিলে ঐ শ্রীতির বিরোধ উপস্থিত হয় । ইহার উত্তরে শৈবাচার্য্যগণ বলিয়াছেন, ব্ৰহ্ম শাগ্নৈকসমধিগম্য, প্রমাণস্তরগম্য নহে । শাস্ত্রে ব্রহ্মের কার্য্যাকারে পরিণাম, নিরবয়বত্ব এবং কাৰ্য্যব্যতিরেকে ব্রহ্মের অবস্থান, এ সমস্তই শ্রত হইয়াছে। সুতরাং উক্ত আপত্তি উঠিতেই পারে না । o এই বিশিষ্টাদ্বৈতবাদীদিগের মত সংক্ষেপে অভিহিত হইল, কিন্তু ভগৱান শঙ্করাচাৰ্য্য এই বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ স্বীকার করেন ন},