लिश्रतः। [ २७* ] लेित्र গত ছিলেন, সেই সময়ে হিব্ৰুগণও বাল দেবের লিঙ্গরূপ উপাসনা করিতেন ; কিন্তু কোন সময়ে এবং কাহার দ্বারা এই লিঙ্গোপাসনা ভারতে অথবা মুদুর পশ্চিম যুরোপ খণ্ডে প্রচারিত হইয়াছিল, তা জানিবার উপায় নাই। পাশ্চাত্য প্রত্নতত্ত্ববিদগণের ধারণ,যখন হিব্রুজাতি অথবা গ্রীক ও রোমকদিগের মধ্যে প্রথমে লিঙ্গোপাসনার প্রভাব দেখা যায়, তখন অবশুই স্বীকার করিতে হইবে যে, ভারতবাসী উহা প্রতীচ্যের নিকট হইতে গ্রহণ করিয়াছেন। কিন্তু এ কথা কতদূর যুক্তিসিদ্ধ তাহ সহজেই অনুমান করা যায়। যখন রোম-সাম্রাজ্যের উত্থান হয় নাই, যখন মীশুখৃষ্ট আদৌ জন্মপরিগ্রহ করেন নাই, বাইবেল গ্রন্থের স্বচনা হইয়াছিল কি না সন্দেহ, তখন হইতেই ভারতে আৰ্য সভ্যতাস্রোতপূর্ণশক্তিতে প্রবাহিত ছিল। বুদ্ধনিৰ্ব্বাণের শতাব পরে বৃদ্ধের প্রতিকৃতি বৌদ্ধদিগের যত্নে সমগ্র জম্বদ্বীপে এবং উত্তরপশ্চিম এসিয়া খণ্ডের নানাস্থানে প্রতিষ্ঠিত ও পূজিত হয়। ললিতবিস্তর হইতে জানিতে পারি যে বুদ্ধের পূর্ব হইতেই শিব, বিষ্ণু ও স্বৰ্য্যপূজা প্রচলিত ছিল। শৈব, বৈষ্ণব ও সৌরদিগের নিকট বোঁদ্ধের মূর্ন্তিগঠন শিক্ষা করিয়া থাকিবে। [ শিব দেখ। ] আমেরিকা মহাদেশের পেরুভিয় নামক স্থানে ‘রামসীতোয় মহোৎসব এবং তথাকার নৃপতিবংশের স্বৰ্য্যবংশোস্তবতার প্রবাদ প্রচলিত আছে। ঐ স্থলের মধ্যবৰ্ত্ত কতকগুলি জাতির ভাষায় ঈশ্বরের নাম সিবু। আসিয়ার অন্তর্গত ফ্রিজিয়া নামক জনপদবাসীরা সেবা বা সেবাজিয়াস্ নামক দেবতার উপাসনা করে। ঐ দেবোপাসকগণ দীক্ষাকালে সপঘটিত কএকটা অম্বুষ্ঠান করিয়া থাকেন। মিশরবাসীর বাকাস ( ব্যান্ত্রেশ ? ) ভিন্ন অপর একটা দেবতার নাম সেব, সেব বা বা সোবক্ দেখা যায় ; এই নামসাগু এবং সর্পগত প্রক্রিয়াদি অনুধাবন করিলে, আমাদের ব্যালমালবিভূষিত ও ব্যাঘ্ৰাম্বরপরিহিত শিবের কথাই মনে পড়ে।* পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের বিশ্বাস, বিষ্ণুর উপাসনাপদ্ধতি প্রাচীন তাতাররাজ্য ( শাকদ্বীপ? ) হইতে ভারতে সমানীত হইয়াছে ; কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয়, তাহার শিবপুজা সম্বন্ধে ঐরূপ কোন यरूशै अङ्कड गैमाश्नांग डेaश्डि इहेछ जसर्ष इन नाई। তাহারা বলেন যে,খুষ্টজন্মাদের প্রথম হইতেই এই শিবোপাসনাপদ্ধতি সিন্ধুসৈকত হইতে রাজপুতনার মধ্য দিয়া আর্যাবর্তভূমে বিস্তার লাভ করে। কালিদাসের বর্ণনা হইতে জানা যায় যে, খৃষ্টপূর্ব প্রথম শতাৰে উজ্জয়িনী নগরে মহাকাল এবং ওয়ারে • Serpent and Siva worship and Mythology in Central America, Africa and Asia, by Hyde Clarke. р, 10-11. শ্বরের মহোৎসব সাধিত হইত। মুসলমান আক্রমণের পূৰ্ব্বেও হিন্দুরাজগণের অধিকারে ঐ স্থানে লিঙ্গোপাসনা প্রবল ছিল। তখনকার বিন্দুস্বর্ণ নামক শিবলিঙ্গ অতি প্রসিদ্ধ। আমাদের দেশে এক খও লম্বমান গোলাকার বা কোণাকার প্রস্তরস্তম্ভ লইয়া সাধারণতঃ শিবলিঙ্গ গঠিত হইয়া থাকে। উছার নিম্নভাগ অপেক্ষাকৃত স্থল ও আসন নামে অভিহিত । বস্তুতঃ এই আসন রাথিবীর আবখ্যক নাই। স্তম্ভের মধ্যস্থলে কোষার আকার যোনিপট্ট বা গৌরীপট্ট স্থাপিত। উহা স্থলবিশেষে প্রণালিকা বলিয়া গৃহীত। এই গৌরীপট্টই পাৰ্ব্বতীর যোনি বা মূলপ্রকৃতির স্ত্রী-চিহ্ন এবং উহা ভেদ করিয়া তদুপরিস্থ উদ্ধায়ত শলাকা বা ওমূল পুরুসের লিঙ্ক বলিয়া বিবেচিত । একযোগে এতদুভয়ই, অথবা যোনিপট্রের উপরিস্থ পুংচিহ্নই শিবলিঙ্গ নামে কথিত ; এই কারণে প্রধান প্রধান শৈবপীঠে আসন না রাথিয়াই যোনিপট্রের উপর লিঙ্গ স্থাপিত দেখা যায়। ভারতবর্ষে প্রায় অনুন আট কোটি লোক শিবলিঙ্গের পূজা করিয়া থাকে। হিমালয়ের অত্যুচ্চ শৃঙ্গ বদরিকাশ্রম ও পশুপতিনাথ হইতে সুদূর দক্ষিণে রামেশ্বর সেতুবন্ধ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করিলে অসংখ্য শিবলিঙ্গ নয়নপথে সমুদিত হইবে। গঙ্গার উভয় কুলে বিশেষতঃ বারাণসীক্ষেত্রে ও বাঙ্গালার মন্দিরপ্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গমূৰ্ত্তিস্থাপনের বাহুল্য দৃষ্ট হয়। বারাণসীর বিশ্বেশ্বরাদি মন্দির, উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর, সেতুবন্ধে রামেশ্বরমন্দির, সোমনাথের সোমনাথমন্দির এবং বাঙ্গালার অন্তর্গত বৈদ্যনাথ এবং কালনা নগরে বদ্ধমানরাজের প্রতিষ্ঠিত ১০৮ট মন্দির শৈবকীৰ্ত্তির নিদর্শন। এতদ্ভিন্ন কাঞ্চীপুর, জম্ব,কেশ্বর, তিরুমলয়, চিদম্বরম্ ও কালহস্তী প্রভৃতি স্থানে প্রসিদ্ধ ও স্বপ্রাচীন শৈব কীৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। শিবপুরাণ (৩৮ অধ্যায়) এবং নন্দি উপপুরাণে শিব বলিতেছেন যে, “আমি সৰ্ব্বব্যাপী, কিন্তু সৌরাষ্ট্রে-সোমনাথ, কৃষ্ণাতীরস্থ ঐশৈলে—মল্লিকার্জুন,উজ্জয়িনীনগরে-মহাকাল,ওঙ্কার,ও অমরেশ্বর, চিতাভূমে—বৈগুনাথ, দক্ষিণে সেতুবন্ধে-রামেশ্বর, বারাণসীক্ষেত্রে-বিশ্বেখর, গোমতীতীরে-ত্রম্ব্যক, হিমালয় পৃষ্ঠে— কেদারনাথ,দারুকবনে—নাগেশ,শিবালয়ে—যুশ্বেশডাকিনীতে— ভীমশঙ্কর প্রভৃতি বিশেষ বিশেষ মূৰ্ত্তিতে আমি বিদ্যমান আছি।’ ১.২৪ খৃঃালে বা ৪১৫ হিজিরায় সুলতান মাক্ষদ গজনীতে জানিয়া সোমনাথ লিঙ্গ ধ্বংস করেন। ১১৫২ শকে স্বলতান জানতামাস উজ্জয়িনীর মহাকাল মূৰ্ত্তি ভাঙ্গিয়া দিল্লীতে आईग्री যান। হিমালয়স্থ কেদারতীর্থে অস্থাপি হিন্দুতীর্থযাত্র গমন করে। দক্ষিণে রাজমছেঞ্জীর অন্তর্গত দ্রাক্ষারাম তীর্থে তীমেশ্বর মুর্বি
