পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাসিক [ १७ ] 感 নাসিক সংস্কৃত চর্চার জঞ্জ বিখ্যাত। ७श्वोंtन क७कछाम প্রসিদ্ধ। জধ্যাপকের সংস্কৃত চতুষ্পাঠীতে অনেক বিদ্যার্থী অধ্যয়ন করেন। এই স্থান অতি স্বাস্থ্যকর । মালিকের বন্থ প্রাচীন শিলালিপি হইতে এইরূপ ঐতিহাসিক সত্য বাহির হইয়াছে ;— প্রথম গৌতমীপুত্র ; তাহার প্রকৃত নাম শাতকণি। তৎপুত্র পুত্ব মারি বাসি ঠিপুত্ত বা বাসিন্ঠপুত্র নামে অভিহিত। এই বাসিষ্ঠী গৌতমীপুত্রের স্ত্রীবলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন। পূৰ্ব্বতন প্রত্নতত্ত্ববিদগণ লিখিয়াছিলেন যে, পুড় মায়ি গৌতমীপুত্রের পিতা, কিন্তু পুড় মারি গৌতমপুত্রের পিতা ন হইয় পুত্র হইতেছেন । এই শিলালিপিতে গৌতমী, এক রাজার মাতা ও এক রাজার ঠাকুরমাতা বা পিতামহী এবং বাসিষ্ঠী কেবলমাত্র এক রাজার মাতা বলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন। অতএব এই উভয়ের মধ্যে গৌতমী বয়োজ্যেষ্ঠা বলিয়। নির্ণিত হইতেছে । আরও অন্তান্ত শিলালিপিবৃষ্টে ডাক্তার তাণ্ডারকর প্রকাশ করিয়াছেন, পুড় মারি পিতার রাজত্বকালে অন্তত্র সিংহাসন প্রাপ্ত হন।. তাছার মতে পুড় মারি নাসিকের ঐ অংশে ও তাহার পিতা গৌতমীপুত্র শতকfর্ণ র্তাহার নিজ রাজধানীতে রাজত্ব করিতেন । গৌতমীপুত্র শ্ৰীযজ্ঞ শাতকণি নামে এক রাজা এই বংশে জন্মগ্রহণ করেন, বহু শিলালিপিতে র্তাহার উল্লেখ আছে । জ্যেষ্ঠ গৌতমপুত্র, “সাতবাহনবংশের যশঃপ্রতিষ্ঠাতা" এইরূপ বর্ণিত থাকায় পুরাণোক্ত অক্ষু ভূত্যবংশই সাতবাহন নামে পরিচিত ছিল বলিয়া বোধ হয় । গৌতমীপুত্র ধনকটকের অধিকারী বা প্ৰভু ছিলেন। জেনারল কনিংহাম্ এই নগরকে কৃষ্ণানদীর তীরে মাম্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত গুণ্ট র জেলায় স্থিত পুরাতন ধরণিকোট বল্লিয়া অনুমান করেন। উপরোক্ত তিনজন রাজা ভিন্ন কৃষ্ণরাজ নামে এ বংশের অন্ত এক রাজার নাম পাওয়া যায়। উক্ত কৃষ্ণরাজ ও গৌতমীপুত্রের মধ্যে অন্তান্ত কতকগুলি রাজা রাজত্ব করিয়াছিলেন । পুরাণে এই দুই রাজার মধ্যে আরও ১৯ জন রাজার নামোল্লেখ আছে । আয়ও কৃষ্ণরাজ প্রভৃতির রাজধানী নাসিক ও গোতমীপুত্র প্রভৃতির রাজধানী গোবৰ্দ্ধননগরে ছিল, বলিয়া ৰোধ হয় । বিশেষতঃ একখানি শিলালিপিতে এরূপ লিখিত মাছে যে গৌতমীপুত্র খগারাতবংশের উচ্ছেদ করিয়া তাহার নুিজবংশের গৌরব স্থাপন করেন। অতএব বোধ হয়, কৃষ্ণরাজ রাজত্ব করার সময় এই খগারাতবংশীয়ের তাছাকে মজ্যচ্যুত করিয়া তাহার সাম্রাজ্য অধিকার করেন। পরে গৌতমীপুত্র জাবার তাহাদিগের হস্ত হইতে পিতৃরাজ্যের উদ্ধার করেন। X సి জন্ড একখানি শিলালিপিতে বর্ণিত আছে, বীরসেম নামক জাষ্ঠীর বা গোপৰংশীয় এক রাজা এখানে রাজত্ব করিতেন । পুরাণে অদ্ভূতৃত্যবংশের উল্লেখের পরেই, এই বংশীয় রাজাদিগের নাম আছে এবং বোধ হয় উহার সমসাময়িক রাজা ছিলেন । আভীরের অত্যন্ত প্রভাৰশালী ছিল ৰলিয়া বোধ হয় না। কেবল নাসিকরাজ্যের এই অংশই তাহাঙ্গের শাসনাধীন ছিল । খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দে ভারতবর্ষের এই অংশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচলিত ছিল । বর্ষাকালে ভারতের নানা স্থান হইতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এখানে ত্রিরশ্মি নামক স্থানে সমবেত হইতেন । সাধারণ লোকে বস্ত্রাদি আনিয়া তাহাদিগকে উপঢৌকন প্রদান করিত। এই উদ্দেশ্যে লোকে টাকা জমা দিত ও তাছার সুদ হইতে ঐ সমস্ত বস্ত্রাদি দান করা হইত। প্রধানতঃ শিল্পকর ও কৃষকেরাই বৌদ্ধধৰ্ম্মের মতাবলম্বী ছিল । ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মেরও এ সময়ে অধঃপতন হয় নাই । উসবদাত ব্ৰাহ্মণ ও বৌদ্ধদিগকে তুল্যরূপে দান করিতেন । এই বৌদ্ধশিলালিপিতে অত্যন্ত সন্মানের সহিত ব্ৰাহ্মণদিগের কথা উক্ত হইয়াছে । গৌতমীপুত্র, ব্রাহ্মণরক্ষক’ নাম গ্রহণ করিয়া আপনাকে গৌরবান্বিত মনে করিতেন । বিদেশীর ভিন্ন জার্তীয়ের ব্রাহ্মণধৰ্ম্ম ও জাতিবিভাগের উপর যে অযথা আক্রমণ করেন, গোতমীপুত্র তাহার উচ্ছেদ সাধন করিয়াছিলেন । নাসিকন্ধম (ত্রি ) নাসিক ধমতি শব্দায়মানাং করোতি নাসিক ঋ-খশ ততো পুৰ্ব্বপদস্ত হ্রস্বঃ মুম্ব চ। (নাসিকান্তনরোধ ধেটোঃ । প৷ ৩২২৯ ) যে নাসিকাস্বারা শব্দ করে, নাক ডাকায় । মাসিকন্ধয় (ত্রি) নাসিকাং নাসাস্থ জলং ধয়তি পিবতীতি ধেটু পানে নাসিক ধেটু থশ ততোপূৰ্ব্ব হ্রস্বঃ মুম্ চ। নাসিকাস্বারা জলপানকারক, যাহারা নাক দিয়া জ্বল থায় । নাসিকবৎ (দেশজ ) নাসিকার স্তায় । মাসিক (স্ত্রী) নাসতে শঙ্কায়তে ইতি নাস-শব্দে খুল, টপ্‌, টাপি অত-ইতুং ( স্তৃচে । প। ৩১৷১৩৩) প্ৰাণেন্দ্রিয়, চলিত নাক, পৰ্য্যায়—ব্রাণ, গন্ধবহী, ঘোণ, নাসা, শিক্তিঘণী, নাসিকা, নস্তা, গন্ধনালী, গন্ধবন্ধ, নক্রা । ( শব্দর রাজনি” ) নিশ্বাস প্রশ্বাসের একটী বাহদ্বার এবং ঘ্ৰাণেন্দ্ৰিয় । নাসিকার যে অংশ দ্বারা গন্ধ উপলব্ধি হয়, উহ নাসিকার ছিদ্রাভাস্তরে নিহিত । মুখের উপর নাসিকার যে অংশ উন্নতভাবে রহিয়াছে, উহা কেবল গন্ধপরিপূর্ণ বায়ু শরীরাভ্যন্তরে আনয়ন করিতে সক্ষম । নাসিকায় যত প্রকার যন্ত্র আছে, তন্মধ্যে শৈঙ্গাণ স্নায়ু (নাসারন্ধের অভ্যস্তরস্থ স্বল্পময় অকৃস্থ শিরা ) সৰ্ব্বাপেক্ষ বিশেষ আবগুক। ঐ স্নায়ু, মস্তিষ্কের শৈত্যাগ কন্দ (Bulb) হইতে বহির্গত হইয়া নাসিকাভ্যন্তরস্থ অস্থিবিশেষের মধ্য