পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিঃক্ষেপ , কোন সমুদ্রেরষ্ট, এরূপ বিস্তৃত তাঁরভূমি দেখা যায় না। এই form off ( Great Bank) “ মাইল দীর্ঘ এবং স্থানবিশেষে ২০ • মাষ্টল বিস্তৃত । জনৈক শাসনকৰ্ত্ত, একটা ব্যবস্থাপক সভা ও একটী কার্যনিৰ্বাহক সভা দ্বারা ইহার শাসনকার্য নির্বাহ হইয় থাকে। নিট (লিঙ্গ টা) আসামের অন্তর্গত একটা নদী। ঐহট জেলার প্রাগুস্থিত পৰ্ব্বতমালা হইতে উখিত হইয়া পূৰ্ব্বতিমুখে ইরাবতী নদীতে মিলিত হইয়াছে। মাঘ মাসের অত্যন্ত #ীতের সময়ও এই নদী প্রায় অটিশত গজ বিস্তৃত থাকে। এখান হইতে অমরাপুর যাইবার একটা সোজা রাস্ত আছে। তুঙ্কুর নিকটে এই নদীর উপকূলে বৃহৎ শালবন ; ইহার অনতিদূরে মণিপুর হইতে আবী নগরের মধ্যবর্তী, এই নদীর E) fra ETH) (s (melanorhea usitatessima) নামে এক প্রকার বৃক্ষ জন্মে, বর্ষার প্রারস্তে ঐ বৃক্ষের ত্বকৃ হইতে এক প্রকার নির্যাস বাহির করিয়া লওয়া হয়, উহাতে কাঠাদির সুন্দর রূপ পালিস্ হইয় থাকে। এবং এই বৃহৎ বৃহৎ বুক্ষের গুড়ি হষ্টতে ব্যবহারোপযোগী তত্ত্ব ও কাষ্ঠাদি কাটিয়া লয়। উহা দেখিতে ঠিক মেহগ্নী কাঠের মত। নিতুন (দেশ) মাধবাদি হইতে জলনিঃসারণ। নিংড়ান (দেশজ ) নিষ্পেষণ। নিংড়ানিয়া ( দেশজ ) হিংস্ৰক, অর্থলোভী । নিংড়ি ( দেশজ ) ১ ফোট গোটা \ f নিঃআরিয়া, বা নিয়ারিয়া, এক শ্রেণীর নীচ হিন্দু। বারাণসী অঞ্চলে ইহাদের বাস । সেক্রার দোকানের ঝাড়নাদি ক্রয় করিয়া ইহার সোণ ঋ, রূপা বাহির করে এবং ঐ লব্ধদ্রব্য বিক্র করিয়া ট্রীবিকানিৰ্ব্বাহ করে। নিঃক । নিখ পেপ | } নিঃকারণ (ত্রি ) কারণশ্বন্ত, অনিমিন্ত । নিঃকাসন (সী ) নিঃসারণ, বহিদয়ণ । অপসারণ। নিঃকাসিত (হি ) নিষ্কাষিত, বহিস্কৃত, নিঃসারিত। নিঃক্রামিত ( ত্ৰি ) লিঞ্জামিত, বহিষ্কৃত । নিঃক্ষত্র (ত্রি) নি নাস্তি ক্ষত্রিয়ে যত্র । ক্ষত্ৰিয়রচিত স্থান, ক্ষত্রিয়শন্ত দেশাদি। নিঃক্ষত্রিয় (ত্রি ) ক্ষত্রিয়খুন্ত দেশাদি । নিঃক্ষিণ্ড (ত্রি) নিম্ন ক্ষিপূ-ত্ত । প্রক্ষিপ্ত, যাহা নিক্ষেপকর। ছষ্টয়াছে। নিঃ(নি)ক্ষেপ (পুং ) নিরক্ষিপ ভাবে ঘঞ্চ। ১ অর্পণ, চলিত গচ্ছিত রাখা । ২ অষ্টাদশধিবাদান্তর্গত বিবাদভেদ । বিশ্বাস করিয়া পড়ন । [ ४-२ ] নিঃক্ষেপ পূর্বক খ্ৰীয় দ্রব্য অন্তের নিকট ন্যাস বা গচ্ছিত রাখার নাম নিঃক্ষেপ। বীরমিত্রোদয়ে ইহার বিষয় এইরূপ লিখিত আছে— “স্বৰ্দ্ৰব্যং যত্র বিস্রস্তুtৎ নিঃক্ষিপত্যবিশঙ্কিতঃ । নিঃক্ষেপে নাম তৎপ্রোক্তং ব্যবহারপদং বুধৈঃ ॥” ( নারদ ) স্বীয় দ্রব্য নিঃশঙ্কচিত্তে বিশ্বাসপূর্বক অন্তের নিকট রাখিলে তাহাকে নিঃক্ষেপ কহে, ইহাকে ব্যবহারপদ বলিয়া পণ্ডিতেরা কহিয়া থাকেন। অর্থাৎ গচ্ছিত দ্রব্য আবগুক মত যদি না পাওয়া যায় এবং যাহার নিকট গচ্ছিত রাখা হয়, সে যদি আর তাহাকে প্রতাপর্ণ না করে, এই সকল কারণে রাজা ইহার বিচার করিয়া থাকেন বলিয়, ইহাকে ব্যবহারপদ বলা হয় । ইহার অপর নাম দ্যাস— “রাজচোরাদিকভয়াদায়াদানাঞ্চ বঞ্চনাৎ ॥ স্থাপ্যতেহস্তগুহে দ্রব্যং ন্যাসঃ সপরিকীৰ্ত্তিতঃ ॥" (বৃহস্পতি) রাজার ও চৌরাদির ভয়ে এবং জ্ঞাতিদিগকে বঞ্চনা করিবার জন্য অপরের গৃহে যে সকল দ্রব্য স্থাপিত করা যায়, তাছাকে স্বাস কহে । মনুতে ইহার বিষয় এইরূপ লিখিত আছে। সৎকুলজাত, সদাচার, ধৰ্ম্মঞ্জ, সভ্যতাবাদী, বহুপরিবার, ধনবান ও সন্ধান্ত ব্যক্তির নিকটে বুদ্ধিমান লোক ধনাদি গচ্ছিত রাখিবেন, এই গচ্ছিত রাখাকে নিক্ষেপ কহে । যে বাক্তি যেরূপে যাহার হাতে যে দ্রবা নিক্ষেপ করিবে, লইবার কালে উহাকে ঐ দ্রব্য ঐরাপে দিবে। যেরূপ ভাবে গচ্ছিত রাখিবেন, যাহার নিকট থাকে, তিনি দিবার সময় ঠিক সেইরূপে প্রতাপণ করিবেন। নিঃক্ষেপকারী একবার মাত্র চাহিলেই নিঃক্ষিপ্ত বস্তু প্রদান করিতে হইবে, যদি না দেয়, তাহা হইলে বিচারক নিঃক্ষেপকারীর অসাক্ষাতে এইরূপ বিচার করিবেন । ইহাতে যদি উপযুক্ত সাক্ষা না পাওয়া যায়, তাহা হইলে, বয়স্ক ও রূপবান চর দ্বারা প্রাড় বিবাক ছলক্রমে হিরণ্যাদি দ্রব্য ঐ ব্যক্তির নিকট গচ্ছিত রাখিবেন, পরে নিঃক্ষেপকারি-চর নিক্ষিপ্ত বস্তু প্রার্থনা করিলে পর, সে যদি ঐ গচ্ছিত দ্রবা যেরূপে যে ভাবে দেওয়া হইয়াছিল সেইরূপে এবং সেই ভাবে প্রত্যপণ করে, তবে উহার প্রতি অপরের অভিযোগের কোন কারণ নাই। যদি ঐ ব্যক্তি চরদিগের নিঃক্ষেপ দ্রব্য না দেয়, তাহা হইলে রাজা তাঁহাকে ধরিয়া আনিয়া উভয় নিঃক্ষেপ্ত বস্তুই দেওয়াইবেন। নিক্ষেপ ও উপনিধি গচ্ছিতকারীর বর্তমানে তাহার পুত্র বা ভাবী উত্তরাধিকারির হন্তে দেওয়া বিধেয় নহে। কারণ পুত্রদিগের বিনাশ হইলে ঐ দ্রব্য নষ্ট হইবার সম্ভাবন, জীবদ্দশায় উক্ত ত্রব্যসমর্পণ করিলেও করিতে পারে, এইরূপ সংশয় স্থলে দেওয়া উচিত নহে। মৃত