পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২১১ ] চিতলমাছ গ্রাঘি ৭৬ ২৬ পূঃ । এই নগরেই বিচারালয় ও পুলিশষ্টেশন আছে । মহিমুরের মধ্যে এই জেলা সৰ্ব্বাপেক্ষ অনুৰ্ব্বর ও প্রস্তরষ্টিময়। এখানে বার্ষিক বৃপাত্ত অত্যস্ত অল্প । ৰেদৰতী নামে তুঙ্গভদ্রার একটা উপনদী জেলার নৈঋতকোণ হইতে ঈশানকোণাভিমুখে বহিতেছে । অমুচ্চ গিরিমালা স্থানে স্থানে পুৰ্ব্বপশ্চিমে বিস্তৃত। তম্ভিয় অন্ত স্থানে বিস্তীর্ণ প্রাস্তর আছে। ইহ সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে গড় ২• • • ফিট উচ্চ । গ্রীষ্মকালে বেদবতীতে বালির চড়া পড়ে, প্রায় জল থাকে না । বালি খুড়িলে তবে কিছু জল পাওয়া যায়। এই জেলার কোনখানেই তেমন গাছপালা হয় না । অনেকে বলেন যে, বড় বড় বনজঙ্গল কাটিয়া ফেলাতেই বৃষ্টির অভাব ও তজ্জন্ত ক্রমেই জমি অফুর্বর হইয়া পড়িয়াছে । কৃত্রিম উপায়ে জলসেচনাদির ব্যবস্থা করিলে উত্তম শস্তাদি জন্মে। পশুচারণের উপযোগী তৃণসমাচ্ছন্ন ক্ষেত্রও স্থানে স্থানে দেখিতে পাওয়া ষায় । দক্ষিণভাগে লবণাক্ত মাটীতে নারিকেল প্রভৃতি গাছ জন্মে । মধ্যভাগের পাহাড়ে খনিজ লৌহ, চুম্বক, প্লেটপাথর ও অন্যান্ত পাথর পাওয়া যায়। পাহাড়ে ব্যায়, ভয় ক, দ্বীপি, তরক্ষু ও বন্যবরাহ বাস করে। পলিগার সর্দারগণ বহুকাল চিতলম্বুর্গে রাজত্ব করিতেন । এই জেলার অন্তর্গত নিগু-গু নামক অতি প্রাচীন গ্রামে খৃষ্টীয় ৫ম শতাব্দীয় এক শিলালিপি পাওয়া যায়। তৎপাঠে জানা যায় যে, ঐ স্থান গঙ্গবংশীয় রাজাদিগের অধীন কোন জৈন রাজার রাজধানী ছিল । চালুক্য ও বল্লালবংশীয় রাজগণের প্রাধান্তকালে গঙ্গবংশীয় কোন রাজাই সম্ভবতঃ এই স্থানে রাজত্ব করিতেন। মুসলমানগণ বল্লালবংশ জয় করিলে বিজয়পুরের হিন্দুরাজগণ দাক্ষিণাত্যের অধীশ্বর হন। এই সময়েই রাজধানী বিজয়পুর হইতে বহু দুরবাসী সামস্তরাজগণ একরূপ স্বাধীনতা লাভ করেন। তন্মধ্যে চিতলদুর্গ, নিছুগল ও নায়কনহটর পলিগারেরাই প্রধান । এই পলিগারগণ বেদর বা বোয়াজাতি, প্রাচীন কিরাত জাতির স্থায় । এই রাজবংশের স্থাপয়িত ১৫০৮ খৃষ্টাব্দের সমকালে চিতলছুর্গ অধিকার করেন। দাক্ষিণাত্যে মোগল, পাঠান ও মহারাষ্ট্রদিগের ঘোর যুদ্ধকালে পলিগারগণ কোন না কোন পক্ষ অবলম্বন করিতেন। জনৈক সর্দারের বিশ্বাসঘাতকতায় ১৭৭৯ খৃষ্টাব্দে চিতলছুর্গ হায়দরআলির অধিকৃত হয় । হায়দরমালি রাজাকে বন্দী ও বেদর বালকগণকে নিজ কৰ্ম্মে নিযুক্ত করেন এবং সমস্ত নগরবাসীকে নিজ রাজধানীতে লইয়া যান । ১৮৩০-৩১ খৃঃ ভাবে সমস্ত মহিমুরের সহিত চিতলম্বুর্গ ইংরাজগবর্মেন্টর অধীন হয় । পরে ১৮৮১ খৃষ্টাৰে মহিমুরের শাসনভার পূর্বরাজবংশীয় রাজার হস্তে অৰ্পিত হইয়াছে। সম্প্রতি বৃটিশ নিয়মেই ইহার শাসনকাৰ্য্য চলিতেছে । দবগিরি, হরিহর, চিতলন্তর্গ ও তুৰ্ব্বস্তুর এই কয়টা প্রধান নগর । চিতলকুর্গের দক্ষিণে যোগীমঠ নামক পৰ্ব্বতের উপর একটা স্বাস্থ্যনিবাস আছে। শস্তের মধ্যে ধান্ত, ভুট্টা, বাজরা, সরিষা, তিল প্রভৃতি ও কোন কোন স্থানে কার্পাস জন্মে, দক্ষিণভাগে নারিকেলও উৎপন্ন হয়। এখানে শস্ত অতিশয় হশ্বল্য। বহুকাল হইতে বেদবতীনদীর উপর ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটা বাধ করিবার কল্পনা হইতেছে। তাহ সম্পন্ন হইবে জেলার অনেক অংশ বিশেষ উৰ্ব্বর হইবে । ইতিমধ্যে বহুব্যয়ে জলাগমের অনেক উপায় করা হইয়াছে । দেশীয় লোকে কার্পাস, উর্ণ ও লৌহ প্রভৃভির নানাবিধ দ্রব্য নিৰ্ম্মাণ করে। কোন কোন স্থানে কার্পাসের অতিস্বল্প ও সুন্দর ব্যাদিও প্রস্তুত হয় । জেলার সর্বত্র উৎকৃষ্ট্র কম্বল প্রস্তুত হইয়া থাকে। কোন কোন কম্বল ২• • হইতে ৩০ • শত টাকা পৰ্য্যন্ত মূল্যে বিক্রীত হয়। জেলার মধ্যভাগে পৰ্ব্বতে লৌহ পাওয়া যায়, তাহাতে কৃষিকার্য্যের যন্ত্রাদি ও ছুরী, কাটারি ইত্যাদি নিৰ্ম্মিত হয়। মালিবেক্ষুর ও হরিহরের কাচের চুড়ি মন নয়। মোটা কাগজও স্থানে স্থানে প্রস্তুত হয় । সম্প্রতি কাচের কাজ একপ্রকার উঠিয়া যাইতেছে । দবনগিরি প্রধান বাণিজ্যস্থান। এখানকার বন্তগুবাক, মরিচ ও কম্বলাদির সহিত মান্দ্রাজ হইতে আনীত ছিটবস্ত্র, বাসন ও লবণাদির বিনিময় হয় । নায়কনহাট নগরে বার্ষিক মেলা হইয়া থাকে। ২ উক্ত চিতলছুর্গ জেলার একটা তালুক। একটী পাহাড়দ্বারা উত্তর ও দক্ষিণে এই তালুক দুই ভাগে বিভক্ত। এই তালুকের পশ্চিমভাগে ভীমসমুদ্র নামে সাৰ্দ্ধ তিনমাইল দীর্ঘ ও দুইমাইল বিস্তৃত একটা প্রকাও জলাশয় আছে। চিতলমারি, বাঙ্গালার অন্তর্গত খুলনাজেলার একটী গ্রাম । এই গ্রাম মধুমতীনদীতীরে অবস্থিত। এখানে চৈত্রমাসে ৬ দিন ধরিয়া একটা মেলা হয় এবং তাহাতে প্রাম প্রতিদিন ৪০ ০০ লোকের সমাগম হইয়া থাকে । চিতলমাছ, ( Notopterus Chitala ) মৎস্তবিশেষ । এই জাতীয় মৎস্ত অনেকাংশে ফলুইমাছের মত । পৃষ্ঠদেশ অতিশয় কুজাকার, নাসিক উন্নত এবং পৃষ্ঠের পাখনা মস্তক Ag BBBBBB BBB BBBBBBBBBBBDDD DD SSSSS BBB BBB BB BBBS BBBB BB BB