পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بیبیسی سیستمع छैौम লিজের জন্ত সিন্দুক ক্রয় করিয়া রাখে। যাহা হউক উহার মধ্যে স্কুল, চুণ ও সময়ে সময়ে চা-পাত দিয়া শবদেহ স্থাপিত হইলে ৩ হইতে ৭ দিবস পর্য্যন্ত গৃহে রাখা হয়। ইত্যবসরে যুত ব্যক্তির আত্মীয় কুটুম্বাদি সকলে শ্বেতবর্ণ শোকসজ্জায় সজ্জিত হইয় তাহাকে সন্মান প্রদর্শন করিতে আইসে । গৃহাদিও ঐ সময় শ্বেত বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত হয়, শ্বেতভূষাই উহাদিগের শোকচিহ্ন । আগত কুটুম্বাদি কয়েক দিবস মৃতের বাটতেই অবস্থান করে। সমাধির দিন আত্মীয় বন্ধুবান্ধৰ সকলেই শবের সঙ্গে গমন করে। সন্নিহিত পৰ্ব্বতের উপত্যকাই সমাধিস্থানরূপে নিৰ্ব্বাচিত হয় । শবসিন্মুক তথায় প্রোথিত কিম্বা মন্দিরাভ্যস্তরে নিহিত হয়। নগরাদির কিছু দূরে সমাধিস্থান উচ্চ বৃক্ষাদি দ্বারা বেষ্টিত | থাকে । শব সমাহিত হইলে চীনগণ প্রতিবর্ষে ঐ স্থানে আগমন করির মৃতের উদেশে শ্ৰাদ্ধাদি করিয়া থাকে। পরকালে মৃত ব্যক্তি গৃহ ও তৈজসাদি প্রাপ্ত হইবে, এই আশায় চীনের কাগজ নিৰ্ম্মিত গৃহযানাদি দাহ করে। তাহদের বিশ্বাস যে ঐরুপ ভস্মীভূত গৃহ্যানাদি পরকালে প্রকৃত হইয়া যায়। এইরূপে নগদ টাকা হইবে ভাবিয়া সোণালি কাগজও পোড়াইয়া থাকে । মৃত ব্যক্তির মর্য্যাদানুসারে শোককাল সুদীর্ঘ হইতে থাকে । সম্রাটু মৃত পিতামাতার জন্ত পূর্ণ তিন বৎসর শোকচিহ্ন ধারণ করেন, সন্ত্রান্ত চীনগণও তাহার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেন । মদ্যমাংসাদি বর্জন, শ্বেতবস্ত্র পরিধান, উৎসবাদি ত্যাগ ইত্যাদি শোকচিহ্ন । রাজকৰ্ম্মচারীগণ ঐ সময় রাজকাৰ্য্যে বিরত হন, বিদ্যার্থীগণ পাঠাদি ত্যাগ করেন, সাধারণ লোকে কোন কৰ্ম্ম করে না । পাছে যথোচিতরূপে মৃতের অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, এই জষ্ঠ প্রত্যেক নগরে সভা স্থাপিত আছে । কাহাকে কতক্ষণ কিরূপে কত মাত্রায় শোক প্রকাশ করিতে হইবে, সে সমস্তও ঐ সভায় নির্দিষ্ট হয় । বিদেশে কোন চীন মরিলে তাহার সত্তানগণ দেশে আনিয় তাহাকে সমাহিত করে। অন্যথা ঘোর ঘূর্ণাম হয় । যাহা হউক, অনেক সময় শৰ সকল ফেলিয়া দেওয়া হয় মাত্র । নাঙ্কিং মগরের নিকট এইরূপ বিস্তর শব প্রক্ষিপ্ত হইতে দেথা যায় । খৃষ্টীয় ১৮শ শতাব্দীর পূর্ব পর্য্যস্ত চীনের সতীরমণী মৃতপতির অনুসরণ করিত। এ দেশের স্থায় তাহারা জলন্ত চিতায় ঝাপ দিত না ; অনাহায়ে ৰ অহিফেন সেবন দ্বারা জীবন বিসর্জন করিত। ১৭৯২ খৃঃ আৰো সম্রাটু ইয়ুন চাং এই প্রথা রহিত করিয়া দেন । কিন্তু এখনও বিধবা-রমণী পতির সমাধিস্থানে গিয়া , তাহার কবরের উপর পাখার বাতাস দিয়া হৃদয়ের শোকবেগ প্রকাশ করে । * Y I - సి 6 [ ७४१ ]

  • डिग्र भ छ्भं भिनौ छैौब-१ि५ग! ।

ভাষা, সাহিত্য –চীন ভাষার স্তায় প্রাচীন ভাষা জগত্তে দুর্লভ। চারি সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে চীনে যে ভাষায় কথোপকথন হইত, এখনও প্রায় সেই ভাষাতেই হইয়া থাকে। চীনদিগের বর্ণমালা চিত্রময়, ইহাদের ভাষা একমাত্রাবিশিষ্ট অর্থাৎ একটা শব্দে একটা স্বর ও একটী ব্যঞ্জন মোট দুইটর অধিক বর্ণ থাকিতে পারে না । সুতরাং বর্ণমালা দ্বারা অতি অল্পসংখ্যক শব্দ হইতে পারে। সমগ্র চীন ভাষায় মোট ৪৫০টা মাত্র শব্দ আছে। কিন্তু প্রত্যেক শব্দ উচ্চারণভেদে নানারূপ অর্থে প্রযুক্ত হইতে পারে। এইরূপে প্রায় ৪৩,৪৯৬ বিভিন্নার্থবোধক শব্দ হুইয়াছে । এই সংখ্যার কতক শিখিলেই অধিকাংশ মনোভাব প্রকাশ করা যায় । খৃষ্টান মিসনরীদিগের চীন ভাষার বাইবেলে মোট ৫• • • শব্দ আছে মাত্র । ক্রমাগত পাচ বর্ষকাল অভ্যাস করিলে বিদেশী ব্যক্তি মোটামুটি চীন ভাষা শিখিতে পারে । চীনের ভাষা ৪ প্রকার। ১ম কোঁয়েন অর্থাৎ রাজভাষা। এই ভাষা এক্ষণে চলিত নাই, কিন্তু প্রাচীন গ্রন্থাদি ইহাতেই লিখিত হইত। এই ভাষা অতি মধুর এবং ইহা দ্বারা সংক্ষেপে গুরুতর বিষয়ও বর্ণনা করা যায়। ২য় ঔয়েচ্চাং—এই ভাষায় বিজ্ঞান ও দর্শনশাস্ত্রাদি লিখিত হয়। ৩য় ছোঁয়ানহোয়— এই ভাষা বিচারালয়ে এবং শিক্ষিতমণ্ডলীতে ব্যবহৃত হয় । সম্প্রতি এই ভাষা ১৮শ বিভাগেই প্রচলিত। তন্মধ্যে পিকিনের নিকট ইহার উচ্চারণ বিশুদ্ধ। ৪র্থ হায়াং টান-ইহা পল্লীগ্রামের ও নীচ লোকের ভাষা । - চীনদিগের বর্ণমালা ৬ প্রকার। ১ম কিয়াই-সু—ইহাই সৰ্ব্বাপেক্ষ সুন্দর। ২য় চুয়েন মু—ইহা চিত্রময় বর্ণমালারই অব্যবহিত পরবর্তী। ৩য় লে-মু রাজকাৰ্য্যে ব্যবহৃত । ৪র্থ হিংসু হাতের লেখায় ব্যবহৃত ; তাড়াতাড়ি লিখিতে ইহাই