পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

इषिक *R Rwulo রচাইল রাজা লোকে বুঝিবার ” ধষ্ঠ মাণিক্য রামকবি দ্বারা প্ৰেত-চতুর্দশীর বঙ্গানুবাদ প্ৰস্তুত করাইয়াছিলেন, এই পুস্তকখানি তাহার বিশেষ প্রিয় ছিল ( ১০:২৯, পৃ: ) । প্রাচীন কালের কোন ত্রিপুরেশ্বরের আদেশে রচিত বৃহন্নারদীয় পুরাণের বঙ্গানুবাদ আমার নিকট ছিল। বোধ হয় এই পুস্তক এক সময়ে আগরতলা হইতে প্ৰকাশিত হইয়াছিল, যেহেতু মহারাজ রাধাকিশোরমাণিক্য এই পুস্তকে স্বহস্তে আমার নাম লিখিয়া একখানি উপহায় দিয়াছিলেন। অৰ্দ্ধশতাব্দী পূৰ্ব্বে মহারাজ বীরচন্দ্ৰমাণিক্য ভাগবত্যাদি বৈষ্ণবশাস্ত্ৰ-প্ৰকাশের জন্য বহরম পুরের রামনারায়ণ বিস্তারমকে এক লক্ষ টাকা দিয়াছিলেন। আহম-রাজ সুদর্শনারায়ণ ১৭০৮ খৃঃ অব্দে রাজ-মাতা চন্দ্র প্রভার আদেশে নারদীয় পুরাণের আর একখানি অনুবাদ প্ৰস্তুত করাইয়াছিলেন । এই তালিকা বাড়াইবার দরকার নাই। অনুসন্ধিৎসু পাঠক বুঝিতে পারিবেন, বিগত ৪৷৫ শত বৎসর যাবৎ প্ৰাদেশিক রাজাদের প্রায় প্রত্যেকে বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না, ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতদের দ্বারা সংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ সঙ্কলন করাইয়াছিলেন। সাধারণ গৃহস্থেরা পৰ্য্যন্ত বঙ্গভাষা ও শাস্ত্রগ্রন্থের অনুবাদে মুক্তহন্তে, ব্যয় করিতেন । ৫ ዖ দেখা যাইতেছে, শুধু ত্রিপুরা, শ্ৰীহট্ট, আসাম, কাছাড়, কোচবেহার নহে-গৌড়ীয় ভাষার শ্ৰীসাধন-কল্পে আরাকান প্রভৃতি সুদূর প্রাচ্য সীমান্তেও বাঙ্গলা ভাষা আবৃত হইয়াছিল। লোর চন্দ্রানীর লেখক দৌলত কাজী এবং পদ্মাবতীর লেখক সৈয়দ আলোয়াল প্রভৃতি কবিরা আরাকান-রাজকৰ্ম্মচারীদের দ্বারা আদিষ্ট হইয়া বঙ্গভাষায় কাব্য প্ৰণয়ন कग्निम्नाछिरलभ । পরাগল খাঁ ও তৎপুত্র ছুটি খ-হিন্দু কবিষয়ের দ্বারা शखांब्राङब्र बर्ग করাইয়াছিলেন। ইহার হুসেন সাহা ও তৎপুত্র নসরত সাহার প্রতিনিধিস্বরূপ চট্টগ্রামে। থাকিয়া ত্রিপুরেশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিগ্ৰহাদি চালাইতেন। স্বয়ং নাসরত সাহা পূর্ষোক্ত কৰিদেৱ পূৰ্ব্বে অপর কোন পণ্ডিতের দ্বারা একখানি অনুবাদ রচনা করাইয়াছিলেন। ( “শ্ৰীযুত নায়ক সে যে নসরত খান। রচাইল পঞ্চালী যে গুণের নিদান।” বঙ্গভাষা ও সাহিত্য, ষষ্ঠ সংস্করণ, ১১৬ পৃঃ । ) মুসলমান সম্রাটের আদেশে গুণরাজ খাঁ ভাগবতের ১০ম শু *२ल उन অনুবাদ শেষ করেন ( ১৪৭০-৮০ খৃঃ) । মাতৃভাষার প্রতি অনুরোগে হিন্দু মুসলমানে প্ৰভেদ বর্ণ ভিন্ন হউক, কিন্তু মাতৃভাষা এক ছিল ; একদিকে লৌহিত্য নদী, আরাকান ও নিতাই দুগতাক হ্রদের পার্শ্ববর্তী মণিপুর-স্পরদিকে ঢাকা ও পদ্মভীরত্ব পূর্ববঙ্গেয় পল্লীসমূহ অবধি সমস্ত পূর্ববঙ্গ বঙ্গভাষার আদর করিয়াছে। আমরা পুনঃ পুনঃ দেখাইয়াছি