পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉ミ বৃহৎ বঙ্গ লুপ্ত গৌড়, সমতট, কৰ্ম্মান্তের চিহ্ন, কোথা হরিকেল কোথা করণ-সুবৰ্ণ । পথে পথে রাজধানী-ফুলের বাগান, SLLL BD DYYATEDL DYY KKB ) বাঙ্গলাদেশের সীমা-নির্দেশ করা কঠিন। প্ৰাচীনকালে কতবার যে এ দেশের রাষ্ট্ৰীয় সীমার পরিবর্তন হইয়াছে, তাহ নিৰ্ণয় করা সহজ নহে। পুরাকালে চীন, ব্ৰহ্ম, কলিঙ্গ, প্ৰাগজ্যোতিষপুর, আরাকান, ত্রিপুরা প্রভৃতি নানা দেশ এই ভূভাগের ভিন্ন ভিন্ন অংশের উপর আধিপত্য স্থাপন করিয়া এ দেশের রাষ্ট্ৰীয় কলেবরকে যুগে যুগে বহুধা-বিভক্ত ও বিচিত্ৰ বৰ্ণে লাঞ্ছিত করিয়াছে। এক সময়ে যেমন গৌড়-সামাজ্য বুঝাইতে বিন্ধ্যোত্তিরসীমায় কনৌজ, সারস্বত গৌড়, মিথিলা ও উৎকণা-এক কথায় গোটা আৰ্য্যাবৰ্ত্তটাকে বুঝাইত, लखrप्रभा ?ग्र औाँ حدداً . अमि*55 । সেইরূপ আবার বঙ্গদেশ বালতে “দ্বাদশ বঙ্গ” অর্থাৎ বার খণ্ডে বি “ক্ত বাঙ্গলা,-পর্বে রেঙ্গুনের পশ্চিম সীমা হইতে ছোটনাগপুরের সীমা, উত্তরে প্রাগজ্যোতিষপর ও দক্ষিণে তমলুক ও সুন্দরবন,- এই সমস্ত অঞ্চলটাই এক রাজ্যের অন্তর্গত বলিয়া বিবেচিত হইত। পালদের প্রাধান্যের সময়ই “পঞ্চগৌড়” কথাটার সৃষ্টি । তখন সমস্ত আৰ্য্যাবৰ্ত্ত মাঝে মাঝে গৌড়েশ্বরের পদানত থাকিত, এবং এদেশের রাজারা “পঞ্চগৌড়েশ্বপ্ন” উপাধি গ্ৰহণ করিয়া রাজচক্ৰবৰ্ত্তিত্বের দাবী করিতেন,- এই সময়েরও বহুপূৰ্ব্বে এদেশের সংস্কৃত ভাষায় “গৌড়ীয় রীতি” প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। ইতিহাস-পূর্ব যুগে জরাসন্ধ আৰ্য্যাবর্তের সর্বশ্রেষ্ঠ নৃপতি বা রাজচক্ৰবৰ্ত্তী ছিলেন ; পৌঁও বাসুদেব, প্রাগুজ্যোতিষপুরের নরক ও চেন্দির শিশুপাল । হঁহার সামন্ত-রাজা ছিলেন। এক সময়ে পৌণ্ড বাসুদেব অনেকটা জরাসন্ধের স্থান অধিকার করিয়াছিলেন নরক, মুর ও ভগদত্তের সময় এই দেশটা প্ৰাগজ্যোতিষপুরের অন্তৰ্গত হইয়াছিল। ঐতিহাসিক যুগের প্রারম্ভে বাঙ্গলাদেশের অনেকটা তমলুকের অন্তর্গত ছিল ; সম্ভবতঃ অশোক যে মহাসমরে দুৰ্জয় কলিঙ্গদিগকে জয় করিয়াছিলেন, সেই যুদ্ধে মেদিনীপুর জেলার তমলকবাসী বাঙ্গালীরাই কলিঙ্গ সৈন্যের অগ্ৰণী হইয়াছিল ( “মেদিনীপুর” আিদষ্টব্য-পরিশিষ্ট ) | বাঙ্গলা ধৰ্ম্ম মঙ্গল কাব্যগুলিতে অনেকস্থলে “দ্বাদশবঙ্গ” বা বার-ভুঞার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। রাজচক্ৰবৰ্ত্তীদের "ভিষেককালে দ্বাদশ মাগুলিকগণের উপস্থিতি "অপরিহার্যা ছিল ; অভিষেকসংক্রান্ত অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে ইহাদের কতকগুলি কৃত্য ছিল । কঁহার রাজাব সিংহাসনারোহণের সময়ে তাহার মাথায় জলধারা বর্ষণ করিয়া অভিষেক করিতেন । ইহারা প্রায়ই রাজদরবারে উপস্থিত থাকিতেন, রাজার নিকটেই ইহাদের আসন থাকিত। উত্তরকালে এই দ্বাদশী-মণ্ডল-স্বামী, '९द्रष्ट्र প্ৰাগৈতিহাসিক যুগে । স্বাদশবঙ্গ ।