পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে সে ৩০ খানি গ্রামের জন্য মহারাজাধিরাজকে খাজনা কিছু দিতে হয় বটে, ASTSLB DDD DS SDB DBD LDDB DBBDBD D BBD DS ডাল-তরকারী, দুধ-মাখনের যে প্রচুর যোগাড় হইত, তাহাও আর হয় না। শিষ্যদের মধ্যে সকলেই শ্ৰীহীন হইয়াছে। বেণের একেবারেই তাহাদের হাতছাড়া। অন্যান্য জাতির ধনী মানী লোক সব ব্ৰাহ্মণদিগের দিকেই গড়াইয়া পড়িতেছে, বৌদ্ধদিগের দিকে আর বড় কেহ আসিতে চায় না । সুতরাং মহাবিহারের আয়ের পথ চারিদিক চাইতেই বন্ধ হইয়া গিয়াছে। বায়ের ভাগ বরং বাড়িয়া গিয়াছে। কিছুমাত্র কমে নাই। কেন না. বৌদ্ধদিগের মধ্যে অনেক বড় বড় দাতা ছিলেন, মহাবিহার ও তার মধ্যে একজন, এখন মহাবিহারই একমাত্ৰ দাতা, তাহাকে সকল দিকই দেখিতে হয়। যখন মহাবিহারের সম্মুখে মহাসভা হয়, তখন সেই প্ৰকাণ্ড পালের নীচে ব্রাহ্মণদের বামদিকে ব্ৰাহ্মণদের গালিচা হইতে তিন হাত তফাতে, ঘাসের ও পিঠে, বৌদ্ধ-ভিক্ষুদের বসিবার স্থান হয়। বলিতে হইবে ন!, সেখানে গুরুপুত্রের আসন সকলের আগে । তিনি ও নিপুণ হইয়া সে দিনকার ব্যাপার সব দেখিতেছিলেন । যখন ভবদেব বলিলেন,-“মহা রাজাধিরাজ, রূপনারায়ণের রাজ্য লোপ হইয়া গেল”, তখন গুরুপুত্রের মুখে যেন কালী মাড়িয়া দিল। যখন মহাবিহারের গ্রামগুলি হিন্দুর দখল করিয়া লইল, তখন রাগে, ক্ষোভে গুরুপুত্র অত্যন্ত বিচলিত হইয়া উঠিলেন। , কিন্তু তাহার পর মায়া যখন মহাসভায় আসিয়া উপস্থিত হইল, গুরুপুত্ৰ তাহাকে দেখিলেন। তাহার মুখে পুর্বে যে বিষাদের ছায়া দেখিয়াছিলেন, এখন আর তাহা নাই। তাহার মুখ এখন আরও উজ্জল, হাস্যময়, আনন্দ ময়। গুরুপুত্র এতদিন তাহাকে ভুলিয়া থাকিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহার সে চেষ্টা সব ব্যর্থ হইয়া গেল। তিনি মায়ার জন্য আবার চঞ্চল 8r