পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ প্ৰতিনিধি ব্ৰাহ্মণ ? এক জন ধনী বংশেরই প্ৰতিনিধি হইবেন।” ক্রমে বিবাদ এত গুরুতর হইয়া উঠিল যে, মস্করী মহাশয় সমস্ত ব্যাপারটা ভবদেব ভট্টের নিকট বলিলেন। তিনি মীমাংসা করিয়া দিলেন যে, এখনও বঙ্গভূমির ব্ৰাহ্মণের জন্য পদ্ধতি লেখা হয় নাই। শূদ্ৰ-পদ্ধতির ত কথাই নাই। সে যে কবে লেখা হইবে, তাহারও ঠিক নাই। আমি যখন ব্যবস্থা দিয়াছিলাম, তখন মনে করিয়াছিলাম, পদ্ধতিও লিখিয়া দিব। কিন্তু রাজকাৰ্য্যে ব্যস্ত থাকায় পারিয়া উঠি নাই ; সুতরাং সাতশতীর আবহমান যাহা করিতেছে, তাহাই করুক ; তাহাতে হস্তক্ষেপ করিও না ।” [ ७ ] আভু্যদয়িক আরম্ভ হইয়া গেল। সাতশতীদের আভু্যদয়িক নূতন রকমের। তাহাতে বিষ্ণুপ্রীতিকামনায় সর্বপ্রথমে যে ভোজ্য উৎসর্গ হয়, তাহা হইল না ও তাহার দক্ষিণান্তও হইল না ; তাহার পর যে চারিটি ভোজ্য উৎসর্গ করিতে হয়, গঙ্গা, যজ্ঞেশ্বর, বাস্তুপুরুষ ও ভূস্বামরি পিতৃগণের নামে, সে চারিটি ভোজ্য উৎসর্গ হইল না । মায়া দক্ষিণাস্ত হইয়া বসিলেন, আচমন করিলেন, পুরোহিত র্তাহাকে দুইটি হস্ত-কুশ দিলেন। বলিলেন, “অনামিকা অঙ্গুলিতে পাের।” সমস্ত কৰ্ম্মকাণ্ডীরা হাঁ হাঁ করিয়া উঠিল। বলিল, “একে স্ত্রীলোক, তাহাতে শূদ্র, কুশে উহার অধিকার কি! দুৰ্ব্বা দিয়া উহার হস্ত-কুশ নিৰ্ম্মাণ করিতে হইবে।” অনেক গোলমালের পর কুশই রহিয়া গেল। সঙ্কল্পের পর সাতখানি পাত্ৰ সাজান হইল, যত কিছু উৎকৃষ্ট খাবার পাত্রে রাখা হইল। সাত জন সপ্তশতী ব্ৰাহ্মণ সকলেই পণ্ডিত, ধাৰ্ম্মিক ও নিষ্ঠাবানু-সাত পাত্রে বসিয়া গেলেন। দেবপক্ষের দুইজন ব্ৰাহ্মণ পূৰ্ব্বাস্ত হইয়া বসিলেন ; পিতৃপক্ষের তিনজন উত্তরাস্ত হইয়া Y99