পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

分伊 题 cयांचाई मि। মহারাষ্ট্রীদের পরম উপাদেয় সামগ্রী মধ্যে গণ্য তাহ জাফরাণ ও মিষ্ট দধি দিয়া প্ৰস্তুত,-এতদ্ব্যতীত পূরণ পুরী-সাখার ভাত প্রভৃতি মিষ্টান্ন-এই সব এদেশীয় হিন্দুদের আহার। মিষ্টামের ব্যাপার। আর সব আমাদেরই মতন, কেবল দেখিতে পাই এদেশের লোকেরা ছানা তৈয়ার করিতে জানে না, সুতরাং সন্দেশ রসগোল্লা প্ৰভৃতি ছানার মিষ্ট নাই। কোন বাঙ্গালী ময়রা এ দেশে এই সকল জিনিসের দোকান খুলিলে বোধ করি অনেক লাভ করিতে পারে। আমার তা বিশ্বাস বোম্বাই এ বিষয়ে বাঙ্গালার কাছ হইতে নূতন শিখিতে পারে। আহারের সময় এ দেশে পট্টবস্ত্ৰ পরিবার নিয়ম আছে সে বস্ত্রের নাম সোলা । বলা বাহুল্য যে সোলাধারী হিন্দুর পিড়ে আসন-কদলী-পত্ৰ বাসন ও প্ৰকৃতিদত্ত অঙ্গুলীই কঁাটা চামচ-এ সকল বিষয়ে আমাদের দেশ হইতে এখানে কিছুই প্ৰভেদ নাই। আহার প্রণালীর উপর যাহা বলা হইল। তাহা এ দেশীয় হিন্দু রীতি-পারসীদের সম্বন্ধে ও সব ঠিক খাটে না । অন্যান্য সামাজিক প্রথার ন্যায় আহার পদ্ধতিতেও তাহারা ইউরোপীয় আদর্শ গ্ৰহণ করিতেছে। ভু-আসন ও কদলীপত্রের পরিবর্তে ক্রমে তাহারা মেজ চৌকী ও চীনের বাসন ব্যবহার করিতে শিখিতেছে। মুসলমানের মত পারসীরাও মাংসপ্ৰিয় কিন্তু পারসীদের মাংস রান্না অপেক্ষাকৃত সাদাসিদে, ঘি মসলায় ছড়াছড়ি যায় না। হিন্দুদের মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষ স্বতন্ত্ৰ আহার করে-স্বামীর আহার সমাপ্ত হইলে স্ত্রী কখন কখন তাহার