পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 ভবিষ্যতের বাঙালী ভেবে দেখলেই বুঝা যায়-আমাদের ভালবাসার কারণ হচ্ছে, যে সব গ জিনিষকে আমরা ভালবাসি, যে সব জিনিষ আমরা চাই, সেই সব জিনিষ ব্যক্তি এবং সমাজ-বিশেষের মধ্যে পাই বলেই তাদের আমরা ভালবাসি ; পক্ষান্তরে বিরোধের কারণ হ’চ্ছে, ধে সব জিনিযকে আমরা ভালবাসিব্যক্তি কিম্বা সমাজবিশেষ থেকে সে সব জিনিষের বিপদের কারণ আছে বলেই তাদের প্রতি আমরা বিরোধের ভাব পোষণ করি । আর যখন ব্যক্তি কিম্বা সমাজবিশেষ থেকে আমাদের প্রিয় জিনিষের সুবিধার কিম্বা বিপদের কোনটিরই সম্ভাবনা থাকে না, তখন সেই ব্যক্তি এবং সমাজের প্রতি আমরা ঔদাসীন্যের ভাব পোষণ করি। প্রতিবেশিক সমাবেশের দরুণ হিন্দু-মুসলমান উভয় সমাজের জীবন এমনই ঘনিষ্ঠ ভাবে সংশ্লিষ্ট যে, হয় তারা পরস্পরের জীবনকে সুভাবে প্রভাবান্বিত করবে, নয় কুভাবে প্রভাবান্বিত করবে। ; এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারে না । সুতরাং হয় তারা পরস্পরকে ভালবাসবে, নয়। ঘূণা করবে ; বাংলাদেশে ঔদাসীন্যের ভাব পরস্পরের প্রতি পোষণ করার মত এমন আবেষ্টনীর মধ্যে হিন্দু মুসলমান ঠিক বসবাস করে না । আপাততঃ এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘুণ অর্থাৎ বিরোধের ভাবটাই যেন প্ৰবল। তার কারণ কি ? আমার মনে হয় নিম্নলিখিত কারণগুলিই বৰ্ত্তমান বিরোধের জন্য মুখ্যতঃ দায়ী, যথা-( ) ঐতিহাসিক শিক্ষার বৰ্ত্তমান প্ৰণালী, (২) ধৰ্ম্মগুরুদের অবাঞ্ছনীয় প্রভাব, (৩) সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তিসম্পন্ন সাহিত্যের প্রভাব, (৪) চাকুরীজীবী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অর্থনৈতিক প্ৰতিযোগিতা, (৫) বৰ্ত্তমান রাজনীতিক জীবনে এই ১াকুরীজীবি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আধিপত্য, (৬) অতীতের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনবার দুরাশা এবং দুঃস্বপ্ন, (৭) বিভিন্ন ধরণের জীবনধারণপ্ৰণালী, (৮) সম্মিলিত অনুষ্ঠান-প্ৰতিষ্ঠানাদির অভাব, (৯) ভবিষ্যতের