পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s --- - - -- { ভারতী অী ১২৮৪) | সমস্ত জীবজন্তুর আধার যে পৃথিবী তাহার উৎপত্তিও ঐ নিয়মের বশবৰ্ত্তী। প্রথমে এক সুৰ্য্য ছিল, তাহা হইতে তাহার কতক অংশ বিচ্ছিন্ন হইয়া পৃথিবী-রূপে পরিণত হইয়াছে। পৃথিবী দ্রবীভূত অব. স্থায় সূৰ্য্য হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল, ইহু একটি বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত । যেমন আগুগর্ভস্থ স্বেদ বিভক্ত হইয়া-হুইয়া জীবের অঙ্গ প্রত্যঙ্গে পরিণত হয়, সেইরূপ স্থৰ্য্য এবং তাহার ছিন্নাংশ-সকল বিভক্ত হইয়া-হইয়া সৌর জগতের অঙ্গ প্রত্যঙ্গে পরিণত হইয়াছে। এই সমস্ত ব্যাপার পর্যালোচনা করিয়া দেখিলে এই একটি ব্যাপক মূল নিয়ম পাওয়া যায় যে,এক হইতে অনেকে পরিণতি, একাকার হইতে বিভিন্নাকারে পরিণতি, এইরূপ নিয়মে স্বষ্টির মূল হইতে তাহার শাখা প্রশাখা উদ্ভূত হইয়া থাকে। উপরে পাওয়া গেল এই যে, মনুষ্যস্বটির নিয়ম মসুযোতেই বদ্ধ নহে, পরন্তু যখন মনুষ্য আদৌ জন্মে নাই সে সময়ে তাহা অপরাপর জীবজন্তু এবং উদ্ভিদ রাজ্যে প্রকারান্তরে বলবৎ ছিল। এরং তাছারাও যখন জন্মে মাই তখন তাহ প্রকারান্তরে | সৌর জগতে বলবৎ ছিল। যখন সেীর জগৎও জন্মে নাই, যখন স্থলমান্থসূক্ষম আদিভূত সমস্ত আকাশময় ব্যাপিয়া ছিল, তখনও উক্ত নিয়ম প্রকারাস্তরে বলবৎ ছিল।

  • श्ळै নিয়ম সেই বিশেষ স্বষ্টি অপেক্ষা ব্যাপক, সেই রূপ নিৰ্ব্বিশেষে বলা যাইতে

उक्लन কতদূর গ্রামাণিক। |-- - ... - ঐ নিয়মের ব্যাপ্তি হইলেই যথেষ্ট হইল । শুদ্ধ কেবল জগতের নিয়ম আবিষ্কার ক ! তেছে ? যখন দেখা যাইতেছে যে, জগতের । তাহ কোন না কোন নিয়মানুসারেই উপরে যেমন দেখা গেল যে, কোন বিশেষ । অথচ তাহার স্থল s পারে যে, স্বষ্টির নিয়ম স্বাক্ট অপেক্ষ । ব্যাপক। প্রামাণিক পণ্ডিত বলেন যে, । রিতে যত্নশীল হও । জগতের কারণ অন্বেষণ । করিয়া কথা সময় নষ্ট করিও না। তাছাকে | জিজ্ঞাসা করি যে, জগতের নিয়ম যাহা তুমি মীন তাহা তোমার মনোরীজো, না তোমার মনের বাহিরে কোথায় অবস্থিতি করি । নিয়ম তোমার থাকা-না-থাকার উপর নির্ভর করে না,তুমি না থাকিলেও জগতের নিয়ম | যেমন তেমনি থাকিবে; এবং যখন বাহবন্তু সকলের পরীক্ষা হইতেই সে নিয়ম অবিস্কার করিয়া পাওয়া যাইতে পারে তাহাকে ! মন হইতে উদ্ভাবন করিয়া পাওয়া যায় না, তখন সে নিয়ম আমাদের মনের বাহিরে অবস্থিতি করিতেছে তাহাতে আর সংশয় নাই। অতঃপর জিজ্ঞাস্য এই যে, কার্যের অভিব্যক্তি অগ্ৰে ন তাহার নিয়ম অগ্ৰে । যখন কোন কাৰ্য্য অভিব্যক্ত হয়, তথন অভিব্যক্ত হয় ; সুতরাং কাৰ্য্য অভিব্যক্তির পূর্বে তাহার নিয়ম স্বস্থির থাক চাই । অতএব দুইটী কথা সুনিশ্চিত—প্রথম জগতের নিয়ম আমাদের মনের বাহিরে ; ; দ্বিতীয়, অগ্ৰে নিয়ম পরে কাৰ্য্যের অভিব্যক্তি । নিয়ম-সম্বন্ধে আর একটি কথা ! জিজ্ঞাস্য এই যে, নিয়মের কোন বল । আছে কি না ? যদি বল, বৃক্ষ माहे, তবে । তাহার অাছে কি ? নিয়মম্বারা কাৰ্য্য হয় নাই, এ কথাই বা

  • T --------- --- -

---