পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১০৩

লিখেচ্চিত্রগতং ভাবং তথ। ব্যাপারমেব চ।
তাথ বর্ণানি বিন্যস্য তত্র তত্রোচিতক্রমাৎ।
লেখিন্যা স্থূল মন্দং নিষ্কলঙ্কং মহামতিঃ॥
তত্র নিম্নেন্নতাদীনি বিশেষানি সমাচরেৎ।” (পৃঃ ২৫৪)

 অনেক সময় শাস্ত্রে এমন ও উল্লেখ আছে যে যেখানে শিল্পী নিজে তাঁহার ধ্যানের দ্বারা মূর্তিকে গ্রহণ করিতে পারেন না সেখানে সাধক তাহার ধ্যানপ্রতিমাকে বা স্বপ্নপ্রতিমাকে তাঁহার ধ্যানানুসারে শিল্পীর দ্বারা নির্মাণ করান। অপ্রকাশিত পঞ্চরাত্র নারদ সংহিতাতে ত্রয়োদশ অধ্যায়ে উল্লিখিত আছে—যে—

ওঁ নমঃ সকললোকায় বিষ্ণব প্রভবিষ্ণবে।
বিশ্বায় বিশ্বরূপায় স্বপ্নাধিপতয়ে নমঃ॥

 এই মন্ত্র জপ করিয়া স্বীয় ইষ্ট মূর্ত্তির স্বপ্নদর্শনের জন্য নিদ্রাগত হইবে। এবং স্বপ্নে ইষ্টরূপ দর্শন করিলে তদনুসারে শিল্পিদ্বারা প্রতিমা প্রস্তুত করাইবে। পঞ্চরাত্রীয় ঈশ্বর-সংহিতায় সপ্তদশ অধ্যায়ে উল্লিখিত আছে যে শিল্পী স্বমূর্ত্তি মন্ত্রের দ্বারা জপ হোমাৰ্চ্চনাদি করিয়া প্রথমে সেই মূর্ত্তিকে সামান্যভাবে চিত্তের মধ্যে উদ্ভাসিত করিয়া মূর্ত্তির উপাদানের অন্বেষণ করিবে।

সম্যক্ স্বমূর্তিমস্তুৈ জপহোমাৰ্চ্চনাদিনা।
নয়েৎ সামান্যভাত্বং তথা তৎকারণার্চ্চনাৎ।

 তারপর শিল্পের উপাদান সামগ্রীতে ও অন্যবিধ সামগ্রীতে বহুবিধ উপায়ে বহু পূজা পদ্ধতি দ্বারা পবিত্র করিবার কথা উল্লিখিত আছে। শিক্ষা কার্য্য আরম্ভ করিবার পূর্বেও নানাবিধ