পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪০
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

তেমনি যে ব্যক্তি কেবল হাতের কার্য্য করিয়াছে অথচ শাস্ত্রজ্ঞান আহরণ করে নাই, সেও অন্ধের ন্যায় একপথে যাইতে অন্যপথে গিয়া উপস্থিত হয়।

কেবলং কর্ম্ম যোবেত্তি শাস্ত্রার্থং নাধিগচ্ছতি
সোহচক্ষুরিব নীয়েত বিবোহন্যেন বর্ত্মসু।

শাস্ত্রজ্ঞান এবং অভ্যাস থাকলেও যদি প্রজ্ঞা বা intuition না থাকে তবে শিল্পীর শিল্প মদহীন হস্তীর ন্যায় নিবীর্য্য হয়।

শাস্ত্রকর্ম্মসমথোহপি স্থপতিপ্রজ্ঞয় বিনা।
ন ফলেৎ কর্ম্মভিঃশিল্পী স্যানিৰ্মদইবদ্বিপঃ॥

প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও প্রজ্ঞা দ্বারাই শিল্পকর্যের নিগূঢ় তত্ত্বকে প্রকাশ করা যায়। প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও প্রজ্ঞা এই উভয়ের তুলনা করিলে প্রত্যুৎপন্নমতিকেই বাহ্য সম্পদ বলা যায় এবং প্রজ্ঞাই অন্তশ্চক্ষু হইয়া দূরালোক এবং মূঢ়ার্থকে প্রকাশ করিয়া থাকে—

প্রত্যুৎপন্নমতির্যস্মাৎ বাহ্যতঃ স্থপতিস্তথা।
কর্ম্মকালে ন মূহ্যেৎ স প্রজ্ঞানেনোপবৃংহিতঃ
অপ্রজ্ঞেয়ং দূরালোকং গূঢ়ার্থং বহুবিস্তরম
প্রজ্ঞাপেতং সমারুহ প্রাজ্ঞোবস্ত মুপাচরেৎ। পৃঃ-২৩৬

কিন্তু এই সমস্ত গুণ থাকা সত্ত্বেও শিল্পী যদি সংযতচিত্ত ও সংযতচরিত্র না হয় তাহা হইলে রাগদ্বেষাদিপ্রযুক্ত তাহার পক্ষে চিত্রের বস্তুর ধ্যান সম্ভব নহে। নিরন্তর চিত্তবিক্ষেপের কারণ থাকা প্রযুক্ত, এতাদৃশ শিল্পী চিত্রেয় বস্তু সম্বন্ধে স্থিরভাবে ধ্যানসমাপন্ন হইতে পারেন না।