পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उभेिक्। R/O a. গঠিত। কিন্তু তাই বলিয়া মঙ্গলচণ্ডী বা মনসাকে অনাৰ্য্য-গোষ্ঠীভুক্ত বলিয়া দাবী করা অযৌক্তিক । মঙ্গলচণ্ডী শাস্তোগ্র দেবতা, কিন্তু অনাৰ্য্যদের মধ্যে যদি এখনও তাঁহার আদিমতম রূপের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহা হইলে কেবল উগ্ৰমূত্তিতেই তাঁহাকে সেখানে পাওয়া যাইবে। তাঁহার সহিত চণ্ডীয় সম্পর্ক থাকিতে পারে, কিন্তু তাঁহাকে মঙ্গলচণ্ডীর উৎস-রূপে গণ্য করা কষ্ট | মঙ্গলচণ্ডীর সহিত কোনও অনাৰ্য্য দেবীর সাদৃশ্য ও সম্পর্ক এখনও সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হয় নাই। এই প্রসঙ্গে ওরাওঁদের চাওঁীর কথা বলা হইয়া থাকে। কিন্তু এই সমীকরণ আমরা সমৰ্থন করিতে পারি না । প্রথমতঃ, আমরা অনুসন্ধান করিয়া যতদূর জানিতে পারিয়াছি তাহাতে বিহার, উড়িষ্যা এবং দিনাজপুর ও মালদহ অঞ্চলের ওরাওঁগণ চান্দী নামে এক দেবীর পূজা করে বটে, কিন্তু চাওঁী-উচচারিত দেবী তাহদের অজ্ঞাত 1 চিহ্ন-বিজিত ইংরেজী অক্ষরে চান্দীকে লেখা হয় Chandi ; ইহাকে চাণ্ডী পড়া যাইতে পারে। এইভাবেই চাণ্ডীর উদ্ভব হইয়াচে বলিয়া মনে হয়। এক জন বৌদ্ধ দেবীর নাম uBS BB DB DBDSLLLLLS BuDS DDDS DDDBD BDBD কেহ মঙ্গলচণ্ডীর আদি-রূপ বলিয়া উল্লেখ করিবেন। এবিষয়ে দ্বিতীয় বক্তব্য হইল, ওরাওঁগণ কোল- ও দ্রাবিড়-ভাষী । বিহার উড়িষ্যার আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত চান্দী, টাকরাণী, গাঙ্গী প্রভৃতি দেবতার নামের পিছনে যে “ স্ক্রিয়াম্। ঈপ্ত ” প্রত্যয়টি পাওয়া যাইতেছে, ইহা ভারতীয় আৰ্য্যভাষার লক্ষণ। কোল ও দ্রাবিড়ভাষায় এবং ওরাওঁদের ভাষাতেও এইরূপ কোনও প্রত্যয় নাই । তৃতীয়তঃ, দ্রাবিড় ও আৰ্য্যভাষায় শব্দের লেন-দেন হইয়াছে বটে, কিন্তু কোন শব্দের জন্য কে কাহার নিকট ঋণী, তাহা এখনও বিতর্ক-সংস্কুল রহিয়াছে। এই সম্পর্কে Bishop Caldwell কতকগুলি সূত্রের কথা বলিয়া গিয়াছেন, সেই সকল সূত্র অবলম্বন করিয়া ভাষাতাত্ত্বিকগণ এই ঋণ-নির্ণয়ে অগ্রসর হইয়া থাকেন। ইহাদের মধ্যে একটি সূত্র আমাদের মনে রাখা আবশ্যক। * হিস্তােল ” শব্দটি ভিন্ন ভিন্ন রূপে ভারতীয় আৰ্য্যভাষায় এবং সমস্ত দ্রাবিড়ভাষাতেই পাওয়া যায়, কিন্তু ভারতের বাহিরে কোন আৰ্য-ভাষাতেই ইহার BuDB KBDBB DD D S DBDD DBD DDDBD YYBDSDBBB BBBDB ug সংস্কৃত শব্দটি দ্রাবিড় শব্দ-ভাণ্ডার হইতে গৃহীত।” এই সূত্র অনুযায়ী বিচার s T. Burrow, Some Dravidian Words in Sanskrit; Transaotions of the Philological Society, 1945, p. 119,