পাতা:মঙ্গলচণ্ডী - দ্বিজ মাধব .pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जुनेिश Հlg/O সাহিত্যে নানা স্থানে ব্যাধের গলাপ পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ব্যাধের কাহিনীর BDD DDDBD S DBDBSB BDBDD BB DDDDBDS বিশ্বেদেবার স্তুতিবাচক একটি বৈদিক মন্ত্রের কথা পূর্বে বলা হইয়াছে। মন্ত্রটির অবশিষ্ট অংশে দেবতা ও অন্য সকলের সহিত, ‘পঞ্চজনা:।’-কেও যজ্ঞের ছবি গ্রহণ করিতে অনুরোধ করা হইয়াছে। যথা— উর্জাদ উত। যজ্ঞিয়াসা: পঞ্চজনা মম হোত্ৰং জুযধবর্ষ। বেদে অন্যান্য স্থলেও ‘পঞ্চ-জনা:"-র উল্লেখ পাওয়া যায়। এই শব্দের অর্থ লইয়া মতভেদ আছে। যাঙ্ক এই শব্দের নিরুক্তি: করিয়াছেন, “নিষাদ-পঞ্চমা চতুর্বর্ণাঃ ”। সুতরাং সনাতন আৰ্য্য-সমাজে চারিবর্ণের অতিরিক্ত একটি পঞ্চ-বৰ্ণ ও স্বীকৃত হইয়াছিল। যে-সকল অনাৰ্য্য তখনও পুরাপুরি জাৰ্য্য-সংস্কৃতি মানিয়া লয় নাই, এইভাবে উদারতা দেখাইয়া তাহাদিগকে পঞ্চম-বর্ণ বলিয়া সমাজে গ্রহণ করা হয় । যিনি বিশ্বজিৎ যজ্ঞ করিবেন, তাঁহাকে নিষাদগণের মধ্যে গিয়া তিন দিন বাস করিতে হইবে, ইহা পঞ্চবিংশতি ব্ৰাহ্মণে বলা হইয়াছে। ১ ইত্যা হইতেও বুঝা যাইতেছে, অনাৰ্য্য নিষাদগণকে কখনও ভাৰ্য্য-সমাজ হইতে সম্পূর্ণ বহিৰ্ভত বলিয়া মনে করা হইত না । অনাৰ্য্যগণের মধ্যে অনেকে রাজ্য-পরিচালনাও ফলিতেন, সংস্কৃত-সাহিত্যে এই সকল অনাৰ্য্য-নৃপতির কথা পাওয়া যায়। রামায়ণের গুহক-রাজকে রামচন্দ্ৰ মিত্ৰ বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। মহাভারতে এবং ধৰ্ম্ম-ব্যাধের গলপ বাণিত হইয়াছে। এই গল্পে ব্যাধকে উৎকৃষ্ট ভক্তরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে। সুতরাং ব্যাধের কথা আছে দলিয়াই চণ্ডীমঙ্গল অনাৰ্য্যদের কাহিনী এবং মঙ্গলচণ্ডী অনাৰ্য্যদের দেবতা, একথা বলা চলে না । চণ্ডীমঙ্গলে কালকেতুকে দেবীর প্রথম ভক্তরূপে দেখানো হয় নাই। কলিঙ্গরাজ মর্ত্যে দেবীর প্রথম ভক্ত। সকলেই এই দেবীর পূজা করার অধিকারী, ইহা দেখাইবার জন্যই ব্যাধকে এই কাহিনীর এক অংশের প্রধান চরিত্র রূপে অঙ্কিত করা হইয়াছে। গীত-প্ৰসঙ্গ মঙ্গলচণ্ডী মহিষমদিনী চণ্ডী হইতে স্বতন্ত্র একজন তান্ত্রিক বা পৌরাণিক মিশ্ৰ-দেবতা, ইহাই আমরা এতক্ষণ দেখাইতে চেষ্টা করিলাম। এই প্রসঙ্গে

  • R. P. Chanda, The Indo-Aryan Races, p. 5.