পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भgeद्ध ७३ बछ চাইলে । একটা চাপা ‘সো-ও ও” শব্দ। মিনি সৰ্ব্ব প্ৰথমে বলে উঠলোএ শেলের শব্দ ! সৰ্ব্বনাশ, এ্যালিস, চলে আমরা ফিরি-জাপানী যুদ্ধ জাহাজের কামান থেকে শেল ছুড়ছে! দুম ! দুম !...দূরে অস্পষ্ট কামানের আওয়াজ শোনা গেল । কাছেই কোথায় একটা ভীষণ বিস্ফোরণের আওয়াজ হোল সঙ্গে সঙ্গে । লোকজন চারিধারে ছুটতে লাগলো-ওরাও ছুটলো। ওদের পিছু পিছু । বসতি যেখানে খুব ঘিঞ্জি, সেখানে একটা বাড়ীতে গোলা পড়ছে। বাড়ীটার সামনের অংশ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে-ইট, চুণ, টালিতে সামনের রাস্তাটা প্ৰায় বন্ধ-কে মরেছে না মরেছে বোঝা যাচ্ছে না, সেখানে লোকজনের বেজায় ভিড় । আবার সেই রকম ‘সেঁ-সো-ও-ও” শব্দ ! কাছেই আব্ব একটা জায়গায় গোলা পড়লো । সঙ্গে সঙ্গে আকাশে সারবন্দী একদল এরোপ্লেন দেখা গেল। তারা অনেক উঁচু দিয়ে যাচ্ছে, পাছে চীনা বিমান ধ্বংসী ‘কামানের গোলা খেতে হয় এই ভয়ে । এ্যালিস বল্লে-ওরা পাল্লা ঠিক করে দিচ্ছে যুদ্ধ জাহাজের গোলন্দাজদের। চলে এখানে আর থাকা নয়-এই চীনা পাড়াটা ७cद्धि व्यJ । কিন্তু ওদের যাওয়া হোল না । এ্যালিসের কথা শেষ হোতে না হোতেই, যেন একটা ভীষণ ভূমিকম্পে, পায়ের তলায় মাটি দুলে উঠলো এবং একসঙ্গে দু’তিনটী শেলের বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ ও সেই সঙ্গে প্রচুর ধোয়া ও বিশ্ৰী শ্বাসরোধকারী কিডাইটুএর উগ্ৰ গন্ধ পাওয়া গেল। তুমুল হৈ চৈ, আৰ্ত্তনাদ, কলরব ও পুলিশের হুইন্সলের মাঝে এ্যালিসের হাত ধরলে বিমল, মিনির হাত ধরলে সুরেশ্বর, কিন্তু পালাবার পথ নেই € 8