বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। অনুরোগে আকৃষ্ট হইয়া তথাকার ব্রাহ্মজমিদার শ্ৰীযুক্ত বিপিনবিহারী রায় সস্ত্রীক এবং আরও কতিপয় ব্ৰাহ্ম ব্ৰাহ্মিক তাহার নিকট “যোগসাধন গ্ৰহণ করেন । ইহাতে আন্দোলন উঠে; এবং অনেকের মনে উক্ত সাধনপ্রণালী সম্বন্ধে প্রশ্ন উখিত হয় । তখন তিনি প্রশ্নোত্তরে তঁহার অবলম্বিত যোগসাধন সম্বন্ধীয় মত ব্যক্ত করেন । যোগসাধন বিষয়ক প্রশ্নোত্তর উক্ত জমিদার মহোদয়ের অর্থানুকূল্যে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছিল। যোগসাধন পুস্তিকা হইতে র্তাহার পরবত্তী জীবনের মত ও সাধনবিবরণ কিঞ্চিৎ সংগৃহীত হইল ;— “জীবাত্মা ও পরমাত্মার যোগ অর্থাৎ মিলনই প্ৰকৃত যোগ ; জীবাত্মার জ্ঞান প্রেম ও ইচ্ছ। এই ত্ৰিবিধ প্ৰকৃতি পরমাত্মার পূর্ণ ও অনন্ত প্ৰকৃতির ঐ তিন অঙ্গের সহিত এক-জাতীয়তা বা সমধৰ্ম্মিত লাভ করিবে ইহাই যোগের উদ্দেশ্য ।” “পরমেশ্বরকে লাভ করা অর্থাৎ জ্ঞান-চক্ষু দ্বারা তাহার নিরাকার সচ্চিদানন্দ রূপ দৰ্শন করা, জ্ঞান-কৰ্ণে র্তাহার বাণী শ্রবণ করা, এইরূপ সমস্ত আধ্যাত্মিক প্ৰকৃতি দ্বারা সম্পূর্ণরূপে তাহাকে সম্ভোগ করাই যোগের লক্ষ্য ।” “র্তাহার কৃপার উপর নির্ভর করিয়া সরলভাবে অজস্র প্রার্থনাই এই যোগসাধনের উপায় ?” “ব্যাকুল ভাবে অজস্র প্রার্থনা দ্বারা ধৰ্ম্ম লাভের প্রতিকুল অবস্থাগুলি প্ৰাণ হইতে আন্তহিত হইলে পরমেশ্বরের করুণা চিনিয়া লওয়া যায়। সাধন কেবল ঈশ্বরের জন্য প্ৰস্তুত হইয়া থাকা ।” “সর্বশক্তিমান পরমেশ্বর আমাদের সাধনের লক্ষ্য, কেন্দ্ৰ, এবং উপায় । তিনি ইচ্ছা করিলে মানবের যোগশক্তি স্বয়ং বিকশিত, করিয়া দিতে পারেন। সুতরাং মানবের সাহায্য ভিন্ন এই সাধন অসম্ভব নহে ।”