পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि aहांदनौ চোখের সামনে। কেমন করিয়া ঘিটুকু ছেলেকে খাওয়াইবে শ্যামা ভাবিয়া পায় নাই। বলিয়াছিল, এমনি একটু একটু খেয়ে ফেলো না খোকা, পেটে গেলেই পুষ্টি হবে । তাই কি মানুষ পারে, কঁাচ ঘি শুধু খাইতে ? শেষে মুড়ির সঙ্গে মাখিয়া দিয়া একটু একটু করিয়া শ্যামা ঘিটুকুর সদগতি कब्रिग्रांछिब्ल । খোকার তখন বাৎসরিক পরীক্ষা চলিতেছে, একদিন সকালে শ্যামাকে ডাকিয়া রাখাল বলিল—জান বৌঠান, শীতলবাবু তো খালাস পেয়েছেন আটদশদিন হল। নকুড়বাবু পত্র লিখেছেন । তোমাদের কলকাতার বাড়িতে এসেই নাকি আছে, দিনরাত ঘরে বসে থাকে, কোথাও যায়-টায় না —পত্ৰখানা দেখি ঠাকুরজামাই ? নকুড়বাবু লিখিয়াছেন—শীতলের চেহারা কেমন পাগলের মতো হইয়া গিয়াছে, বোধ হয়। সে কোনো অসুখে ভুগিতেছে, এতদিন হইয়া গেল কেহ তাহার খোঁজ খবর লইতে আসিল না দেখিয়া জ্ঞাতার্থে এই পত্ৰ লিখিলাম । রাখাল বলিল-তোমাদের বাড়িতে না ভাড়াটে আছে বৌঠান ? শীতলবাবু ওখানে আছেন কি করে ? -কি জানি ঠাকুরজামাই, কিছু বুঝতে পারছি না। আপনি একবার যান না। কলকাতা ? কথাটা এখানে প্ৰকাশ করিতে শ্যামা রাখালকে বারণ করিয়া দিল । বিধান পরীক্ষা দিতেছে, এখন এই সংবাদ পাইলে হয়তো সে উত্তেজিত হইয়া উঠিবে, ভাল লিখিতে পরিবে না । —বছরকার পরীক্ষা সহজ তো নয়। ঠাকুবুজামাই, এখন কি ওকে ব্যস্ত করা উচিত ? পাগলের মতো চেহারা হইয়া গিয়াছে ? অসুখে ভুগিতেছে ? বিধানের পরীক্ষা না থাকিলে শ্যামা নিজে দেখিতে যাইত। কিন্তু এখানে শীতল আসিল না কেন ? লজ্জায় ? কি অদৃষ্ট মানুষটার ? দু বছর জেল খাটিয়া বাহির হইয়া আসিল, ছেলেমেয়ের মুখ দেখিবে, স্ত্রীর সেবা পাইবে, তার বদলে খালি বাড়িতে মুখ লুকাইয়া এক অসুখে ভুগিতেছে! এত লজ্জাই >8够