পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांगेिक dहांदनी বয়স হইয়াছিল, বিধানের স্কুলের পড়া শেষ হওয়া পৰ্যন্ত সে বঁাচিয়া থাকিতে পারিল কই ? w হারান মরিয়াছে। মরিবে না ? কপাল যে শ্যামার মন্দ । হারান বঁাচিয়া থাকিলে শ্যামার ভাবনা কি ছিল ? বাড়িতে শ্যামার ভাড়াটে আসিয়াছিল, তারা কুড়ি টাকা পাঠাইত শ্যামাকে, আর হারান পাঠাইত পচিশ। হারানের মনিঅৰ্ডারের কুপনে কোনো অজুহাতের কথা লেখা থাকিত না, শুধু অপাঠ্য হাতের লেখায় স্বাক্ষর থাকিত-হারানচন্দ্ৰ দে ।। শ্যাম তো তখন ছিল বড়লোক । কয়েক মাসে শ’ দেড়েক টাকাও জমাইয়া ফেলিয়াছিল। কেন মরিল হারান ? কত মানুষ সত্তর আশি বছর বঁচিয়া থাকে, পয়ষট্টি পার হইতে না হইতে হারানের মরিবার কি হইয়াছিল ? শ্যামা কি করিবে ? ভগবান যার প্রতি এমন বিরূপ, বাড়ি বিক্রি করিয়া না দিয়া তার উপায় কি ! শহরতলীর বাড়ি, তাও বড় রাস্তার উপরে নয়, দক্ষিণ খোলা নয় । একতলা পুরনো। বাড়ি বেচিয়া শ্যামা হাজার পাঁচেক টাকা পাইয়াছিল। টাকা থাকিলে খরচ কেন বাড়িয়া যায় কে জানে। আগে ছোট-বড় অনেক খরচ মন্দার উপর দিয়া চালানো যাইত, কিন্তু পুজি যার পাচ হাজার টাকা সে কেন তা পরিবে ? মন্দাই বা দিবে কেন ? দুধের কথাটা ধরা যাক । দুধ অবশ্য কেনা হয় না, বাড়িতে পাঁচ-ছটা গরু আছে। কিন্তু গরুর পিছনে খরচ তো আছে ? শ্যামার ছেলেমেয়েরা দুধ তো খায় ? শ্যামা পাঁচ হাজার টাকা পাওয়ার মাসখানেক পরে মন্দা বলে-পয়সা কড়ি হাতে নেই বোঁ, এ-মাসের খোল-কুঁড়োর দামটা দিয়ে দাও না,-সামনের মাসে আনাব’খন আমি । কুঁড়ো কেনা হইবে কেন ? সেদিন যে দু মণ চাল করা হইল তার কুঁড়ো গেল কোথায় ? এবার মন্দা ধান ভানার মজুরি নগদ দেয় নাই। ধান যে ভানিয়াছে কুঁড়ো পাইয়াছে সে। মন্দা তাহা হইলে শ্যামার টাকাগুলি খরচ করাইয়া দিবার মতলব করিয়াছে ? ঘরের ধানের কুঁড়ো পরকে দিয়া শ্যামাকে দিয়া কুঁড়ো কিনাইবে । মাসের শেষে মুদি তাহার সাঁইত্রিশ টাকা পাওনা লইতে আসিয়াছে, মন্দা > R