পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांकि यंहांवत्रौ আলোচনা হইয়াছিল তা নয়, নানা বিষয়ে জ্যোতিৰ্ম্ময়ের মতামত জানিবার জন্য যেন কতকটা জেরাই করা হইয়াছিল। জ্যোতিৰ্ম্ময়কে, তবে সে কাজটা ভদ্রলোক করিয়াছিল বড়ই অমায়িকভাবে। সবচেয়ে আশ্চৰ্য্যের বিষয় আগাগোড়া সত্যপ্রিয় বিশেষ কথা শুনিয়াছিল-যেটা সত্যপ্রিয়ের একেবারেই প্ৰকৃতিবিরুদ্ধ। যাই হোক, কোন বিষয়ে নিজের কোন মতামত জ্যোতিৰ্ম্ময়ের ছিল। কিনা সন্দেহ, ততদিনে সত্যপ্রিয়ের মতামতগুলিও সে মোটামুটি আয়ত্ত করিয়া ফেলিয়াছিল, সুতরাং সত্যপ্ৰিয়ের সামনে বসিয়া ভারতবর্ষের অতীত, বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অভিমত প্ৰকাশ করিতে তার বিশেষ অসুবিধা হয় নাই। সত্যপ্রিয়ও মোটামুটি খুসী হইয়াছিল, কেবল ফিরিবার সময় দু’একটি বিষয় উল্লেখ করিয়া বলিয়াছিল, “আমার কথাগুলি এখনো সম্পূর্ণ বুঝে উঠতে পারেন নি। যাই হোক, আপনার নিষ্ঠা আছে, ধীরে ধীরে বুঝবেন। আমার কত বছরের চিন্তা ফল, ওকি আর দু’চারদিনে বোঝা যায়।’ তারপর জ্যোতিৰ্ম্ময় আর ইংরেজ ভদ্রলোকটির সংস্পর্শে আসে নাই। কিন্তু সত্যপ্ৰিয়ের যত লেখা ও বক্তৃতা ছাপা হয়, সত্যপ্ৰিয় নিজে যে সেগুলিতে নানা রকম মন্তব্য যোগ করিয়া এর কাছে পঠাইয়া দেয়, কিছুদিন পরে জ্যোতিৰ্ম্ময় তা জানিতে পারিয়াছে । সেই সঙ্গে একটা বিষয়ে জ্যোতিৰ্ম্ময়ের একটা অস্পষ্ট ধারণাও জন্মিয়াছে। গবৰ্ণমেণ্টের বড় বড় কণ্টাক্ট বাগানোর ব্যাপারে সত্যপ্রিয় যে অসাধারণ ও প্ৰায় অবিশ্বাস্য কৃতিত্ব দেখাইয়াছে, অনেকের কাছেই তা দুৰ্ব্বোধ্য রহস্যে ঢাকা । কিন্তু জ্যোতিৰ্ম্ময়ের মনে হয়, এই ইংরেজ ভদ্রলোকটির অনুগ্রহেই বোধ হয় সত্যপ্রিয়ের এই বিশেষ সৌভাগ্য। স্পষ্ট ধারণা করিবার উপায় নাই। সত্যপ্রিয়কে ব্যক্তিগতভাবে এতখানি অনুগ্ৰহ করিবার মত উচ্চপদে তো ভদ্রলোক প্রতিষ্ঠিত নয়। ব্যক্তিগত অনুগ্রহের ব্যাপারও এটা নয়। জোর গলায় যে ঘোষণা করিতেছে যে, আমি দেশকে ভালবাসি, ভারতবর্ষের সকল সমস্যার সমাধান আমি আবিষ্কার করিয়াছি, দেশের অপরিণামদর্শী অন্ধ নেতাদেৱ প্ৰদৰ্শিত ভ্ৰান্ত পথ ত্যাগ করিয়া আমার প্রদর্শিত পথে চলিলে তেত্রিশ বৎসরে ভারত স্বাধীন হইবে, ভারতের ঘরে ঘরে সুখও শান্তি বিরাজ কৰিবে-মাঝে মাঝে সে ইংরেজ-বিদ্বেষ আর সোজাসুজি গবৰ্ণমেণ্টের সঙ্গে vot)