পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্ৰন্থাবলী “ভালর চেয়ে তাতে মন্দই বেশী হবে মনে হয় ।” কিন্তু চিকিৎসকেরও সব কথা স্বীকার করা সত্যপ্ৰিয়ের পক্ষে অসম্ভব, এ-যুগের চিকিৎসকেরা কি জানে ? জানিলেও সত্যপ্রিয়ের চেয়ে তো বেশী জানে না । ‘ব্রহ্মচৰ্য্য পালন না করলে শুধু ওষুধ আর পথ্যে কি ফল হবে কবরেজ মশায় ?” কবিরাজ মৃদু হাসিয়া বলিল, “স্বামী-স্ত্রীকে গায়ের জোরে তফাৎ করলেই কি ব্ৰহ্মচৰ্য পালনের ব্যবস্থা হয়ে যায় ? ওদের দেখা-সাক্ষাৎ হ’তে না দিলে ফলটা খারাপ হবে।’ ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া কবিরাজ একটু ভাবিল, তারপর বলিল, “তা ছাড়া, আমার মনে হয় সবটাই আপনার অনুমান, আপনার জামায়ের কোন চিকিৎসার দরকার ছিল না । শ্ৰীমানের স্বাস্থ্য তো এমন-কিছু খারাপ নয়। ওর মানসিক স্বাস্থ্যই বরং একটু খারাপ যাচ্ছে!” “তা বলতে কি বুঝাচ্ছেন ?? “বুঝাচ্ছি যে শ্ৰীমানের মনটা একটু বিকারগ্রন্থ, কোন আঘাতটাঘাত পেয়েছে মনে কিংবা অনেকদিন থেকে কোন দুঃখকষ্ট সহ করে’। আসছে। ওষুধ-পথ্যের ব্যবস্থা না করে” খুব হৈ-চৈ ফনুত্তি করে” দিন কাটাবার ব্যবস্থা করলেই বোধ হয় ভাল হ’ত ।” “হৈ-চৈ ফািৰ্ত্তটা কি রকম ?” “এই মনের আনন্দে থাকা আর কি ! বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে হাসিতামাসা করা, খেলা-ধূলা ভাল লাগলে তাই করা, দেশটেশ বেড়ানো, ভাল লাগলে শিকার-টিকারে যাওয়া-কি জানেন, সবাইকার তো এক জিনিষ পছন্দ নয়, যার যেদিকে মন যায়। একেবারে মদটব্দ খেয়ে গোল্লায় যাবার ব্যাপার। যদি না হয়, বেশী বাধাবাধির চেয়ে অল্পবিস্তর অসংযমও ভাল। শ্ৰীমান বড় বেশী ভয়ে-ভাবনায় क्नेिन्न काbjग्न-' “কিসের ভয় ভাবনা ?” সত্যপ্রিয়ের মুখ দেখিয়া কবিরাজ কথার মোড় ঘুৱাইয়া নিল। যে চিকিৎসা চায় উপদেশ চায় না, তাকে যাচিয়া উপদেশ দিয়া লাভ কি ! কবিরাজের সঙ্গে আলোচনার কয়েকদিন পরেই সত্যপ্ৰিয় মেয়েকে দেশে 8 So