পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* যুগান্তর আছে। এবারে বুঝি সে ইচ্ছা পূর্ণ হয়। গৌরীপতি অনেক আগ্রহ সহকারে র্তাহাকে ও গৃহিণীকে যাইবার জন্য অনুরোধ করিয়া পত্র লিখিয়াছেন। গৌরীপতির অনুরোধে তঁহার মনের সংকল্প দৃঢ় করিয়া দিয়াছে। কিন্তু তৎপূর্বে তাহার কিঞ্চিৎ কাৰ্য্য অবশিষ্ট আছে। তিনি অনেক দিন হষ্টতে একটি ইচ্ছা হৃদয়ে পোষণ করিয়া আসিতেছেন। বর্ষে বর্ষে গ্রীষ্মের সময় জলাভাবে তাহার বাসগ্রামের চতুস্পাশ্বের চাষা গ্রামের লোকের কিরূপ ক্লেশ হয়, তাহা তিনি লক্ষ্য করিয়া আসিতেছেন। অনেক দিন হইতে র্তাহার মনে এই বাসনা জন্মিয়াছে, যে একটু অর্থের সচ্ছল হইলে ই মাঠের মধ্যে একটা বড় পুষ্কবিণী খনন করিয়া তাহা ঐ সকল গ্রামবাসী দরিদ্র লোক দিগের জন্য উৎসর্গ করিবেন। এবার পূজা শেষ হইলেই সেই কাৰ্য্যে হস্তার্পণ করিলেন । পাঁচ খানি গ্রামের মধ্যস্থিত একটা মাঠের ধারে দশ বিঘা পতিত জমি ক্ৰয় করিলেন। শীতকালে জমি একটু শুকাই বা মাত্ৰ খনন কাৰ্য আরম্ভ হইল। ওদিকে খনন কাৰ্য্য আরম্ভ হইল, এদিকে কালীর মন্দিরে তদার্থ বিশেষ স্বস্ত্যয়ন চলিল। চৈত্র মাসের মধ্যে কাৰ্য্য এক প্ৰকার শেষ হইল। বৈশাখের প্রারম্ভে তর্কভূষণ মহাশয় উক্ত ভূমিখণ্ডকে প্রাচীরের দ্বারা ঘিরিয়া একটা উদ্যান করিবার আয়োজন করিতে লাগিলেন । সে বিষয়ে একটু গোলযোগ ছিল। তিনি যে জমি ক্রয় করিয়াছিলেন, তাহার উপর দিয়া বহু বৎসর পূর্ব হইতে লোকে গতায়াত করিত। জমির ভাব গতিক দেখিলে বোধ হয়, বহুকাল পূর্বে তদুপরি কাহারও বসত বাট ছিল। কিন্তু অনূ্যন ২৫/৩০ বৎসর কাল লোকে ঐ ভূমিখণ্ডকে পতিত অবস্থাতে দেখিয়া আসিতেছে, ও তাঞ্জার উপর দিয়া গতায়াত করিতেছে। কাজেই ঐ ভূমিকে প্রাচীর দ্বারা আবদ্ধ করিবার সময় তাহাকে একটু ভাবিতে হইল। অবশেষে চিন্তা করিয়া স্থির