পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী বসন্তের ফুলে । কখনো কি বক্ষ ভরি নিবিড় বন্ধনে, তোমারে, হৃদয়েশ্বরী, পারিব বাধিতে । পরশে পরশে দোহে করি বিনিময় মরিব মধুর মোহে দেহের দুয়ারে ? জীবনের প্রতিদিন তোমার আলোক পাবে বিচ্ছেদবিহীন— জীবনের প্রতিরাত্রি হবে স্বমধুর মাধুর্যে তোমার ! বাজিবে তোমার স্বর সর্ব দেহে মনে ? জীবনের প্রতি স্থখে পড়িবে তোমার শুভ্ৰ হাসি, প্রতি দুখে পড়িবে তোমার আশ্র জল, প্রতি কাজে রবে তব শুভহস্ত দুটি । গৃহমাঝে জাগায়ে রাখিবে সদা স্বমঙ্গল জ্যোতি । এ কি শুধু বাসনার বিফল মিনতি, কল্পনার ছল । কার এত দিব্যজ্ঞান, কে বলিতে পারে মোরে নিশ্চয় প্রমাণ— পূর্বজন্মে নারীরূপে ছিলে কি না তুমি আমারি জীবন-বনে সৌন্দর্ষে কুস্থমি প্রণয়ে বিকশি । মিলনে আছিলে বাধা শুধু একঠাই, বিরহে টুটিয়া বাধা আজি বিশ্বময় ব্যাপ্ত হয়ে গেছ, প্রিয়ে, তোমারে দেখিতে পাই সর্বত্র চাহিয়ে । ধূপ দগ্ধ হয়ে গেছে, গন্ধবাষ্প তার পূর্ণ করি ফেলিয়াছে আজি চারিধার। গৃহের বনিতা ছিলে— টুটিয়া আলয় বিশ্বের কবিতারূপে হয়েছ উদয়,— তবু কোন মায়াডোরে চির-সোহাগিনী হৃদয়ে দিয়েছ ধরা, বিচিত্র রাগিণী জাগায়ে তুলিছ প্রাণে চিরস্থতিময় । তাই তো এখনো মনে আশা জেগে রম ግ¢