পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o M kų o ङिन नश्रौ పరిరి r, پئی ،! s • m মানতে না। তরী তীরে এসে পৌছয় তবু যাত্রী তীর্থে ওঠবার ঘাট খুঁজে পায় না। আমার হয়েছে সেই দশা। বী, আমার মধুকরী, কবে তুমি আমাকে সম্পূর্ণ করে আৰিষ্কার করবে বলে।” "Α - JᎼ “যখন আমাকে তোমার আর দরকার হবে না।” 闰 o "ও-সব অত্যন্ত ফাপ কথ। অনেকখানি মিথ্যের হাওয়া দিয়ে ফুলিয়ে ভোল । স্বীকার করে, “আমাকে না হলে নয়’ ব’লে জেনেই উৎকণ্ঠিত তোমার সমস্ত দেহমন। সে কি আমার কাছে লুকোবে।” “এ কথা বলেই বা কী হবে, লুকোবই বা কেন। মনে যাই থাক, আমি কাঙালপন। করতে চাই নে ৷” “আমি চাই, আমি কাঙাল। আমি দিনরাত বলব, আমি চাই, আমি তোমাকেই চাই ।” “আর সেই সঙ্গে বলবে, আমি ক্রাইসলারের গাড়িও চাই ।” “ওই তো, ওটা তো জেলাসি। পর্বতে বহ্নিমান ধূমাং। মাঝে মাঝে ঘনিয়ে উঠুক ধোয় জেলাসির, প্রমাণ হোক ভালোবাসার অন্তগূঢ় আগুন। নিবে-যাওয়া . ভলক্যানো নয় তোমার মন । তাজ ভিসুভিয়স ।” ব’লে দাড়িয়ে উঠে অভীক হাত তুলে বললে, “হুরূরে।” 4 “এ কী ছেলেমাহুষি করছ। এইজন্যেই বুঝি আজ সকালবেলায় এসেছিলে আগে থাকতে প্ল্যান ক’রে ?” “হঁ। এইজন্যেই। মানছি সে কথা। নইলে এমন মুগ্ধ কেউ কেউ জানা আছে যাকে এ ঘড়ি এখনি বেচতে পারি বিনা ওজরে অন্যায় দামে। কিন্তু তোমার কাছে কেবল তো দাম চাইতে আসি নি, যেখানে তোমার ব্যথার উৎস সেখানে ঘা মেরে অঞ্জলি পাততে চেয়েছিলেম। কিন্তু হতভাগার ভাগ্যে না হল এটা, না হল ওটা।” “কেমন করে জানলে। ভাগ্য তো সব সময় দেখাবিস্তি খেলে না। কিন্তু দেখো, একটা কথা তোমাকে বলি– তুমি মাঝে মাঝে আমাকে জিগ গেস করেছ তোমার লীলাখেল দেখে আমার মনে খোচা লাগে কি না। সত্য কথা বলি, লাগে খোচা।” অভীক উত্তেজিত হয়ে বলে উঠল, “এটা তো স্বসংবাদ ।” বিভা বললে, “অত উৎফুল্ল হোয়ে না। এ জেলাসি নয়, এ অপমান। মেয়েদের নিয়ে তোমার এই গায়ে-পড়া সখ্য, এই অসভ্য অসংকোচ, এতে সমস্ত মেয়েজাতের প্রতি তোমার অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। আমার ভালো লাগে না।” “এ তোমার কী রকম কথা হল। শ্রদ্ধার ব্যক্তিগত বিশেষত্ব নেই? জাতকে २t|S७