পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভিন সঙ্গী । వyరి তাতেই র্যার দখল তিনিই সেরা ব্রাহ্মণ।” 1 রেবর্তী অপ্রস্তুত হয়ে বললে, “আমার বাবা করতেন যজনৰাজন, আমি কিছুই জানি নে।” : go # , “বল কী, তুমি যে মন্ত্র শিখেছ সেই মন্ত্রে সমস্ত জগৎ হয়েছে মানুষের বশ। তুমি ভাবছ মেয়েমানুষের মুখে এসব কথা এল কোথা থেকে। পেয়েছি পুরুষের মতো পুরুষের মুখ থেকে। তিনি আমার স্বামী । যেখানে তার সাধনার পীঠস্থান ছিল, কথা দাও বাবা, সেখানে তোমাকে যেতে হবে।” ro “কাল সকালে আমার ছুটি আছে, যাব।” “তোমার দেখছি গাছপালার শখ। বড়ো আনন্দ হল। গাছপালার খোজে আমার স্বামী গিয়েছিলেন বর্মীয়, আমি তার সঙ্গ ছাড়ি নি।” সঙ্গ ছাড়ে নি কিন্তু সায়ান্সের চর্চায় নয়। নিজের ভিতর থেকে ষে গাদ উঠত ফুটে, স্বামীর চরিত্রের মধ্যেও সেটা অনুমান না করে থাকতে পারত না। সন্দেহের সংস্কার ছিল ওর অঁাতে অঁাতে । একসময়ে নন্দকিশোরের যখন গুরুতর পীড়া হয়েছিল, তিনি স্ত্রীকে বলেছিলেন, “মরবার একমাত্র আরাম এই যে, সেখান থেকে তুমি আমাকে খুজে বের করে ফিরিয়ে আনতে পারবে না।” সোহিনী বললে, “সঙ্গে যেতে পারি তো।” নন্দকিশোর হেসে বললেন, “সর্বনাশ।” সোহিনী রেবতীকে বললে, “বর্ম থেকে আসবার সময় এনেছিলুম এক গাছের চার। বর্মিজর তাকে বলে কোযাইটানিয়েঙ্গ। চমৎকার ফুলের শোভা— কিন্তু কিছুতেই বাচাতে পারলুম না।” o আজই সকালে স্বামীর লাইব্রেরি ঘেটে এ নাম সোহিনী প্রথম বের করেছে। গাছটা চোখেও দেখে নি। বিদ্যার জাল ফেলে বিদ্বানকে টানতে চায়। অবাক হল রেবতী । জিগ গেস করলে, “এর লাটিন নামটা কি জানেন ।” সোহিনী অনায়াসে বলে দিলে, “তাকে বলে মিলেটিয়৷ ” . বললে, “আমার স্বামী সহজে কিছু মানতেন না, তবু তার একটা অন্ধবিশ্বাস ছিল ফলে ফুলে প্রকৃতির মধ্যে যা-কিছু আছে সুন্দর, মেয়েরা বিশেষ অবস্থায় তার দিকে একান্ত করে যদি মন রাখে তা হলে সস্তানরা স্বন্দর হয়ে জন্মাবেই। এ কথা তুমি বিশ্বাস কর কি ” ե * বলা বাহুল্য এটা নন্দকিশোরের মত নয়। 韓 রেবতী মাথ।টুলকিয়ে বললে, “যথোচিত প্রমাণ তো এখনও জড়ো হয় নি।"