পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f | 1 I , k s T i f n J. o | J i , n 观 १ o, i. t P } i * f i o * : * | f 生 * r" f t * t ية “গোপন কথাটা প্রকাশ করেই বলি। তোমার ঐ সোহিনী নামটির সঙ্গে আরএকটিশবের মিল আছে, বড়ে খাটি তার অর্থ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই হিনি হিনি কিনি কিনি রবে ঐ দুটি শব্দ মিলিয়ে মনে মনে খঞ্জনি বাজাতে থাকি।” “কেমিষ্ট্রর রিসর্চে মিল করা আপনার অভ্যাস আছে, ওটা তারই একটা “মিল করতে গিয়ে মরেও অনেক লোক। বেশি ঘাটাঘাটি করতে নেই— ঘোরতর দাহ পদার্থ।” r এই ব’লে হাঃ হাঃ শব্দে উচ্চহাস্ত করে উঠলেন । “নায়, ঐ ছোকরার সামনে এসব কথার আলোচনা করতে নেই। বারুদের কারখানায় আজ পর্যন্ত ও অ্যাপ্রেস্টিসি শুরু করে নি। পিসিমার আঁচল ওকে আগলে আছে, সে আঁচল ননকম্বাষ্টিবল।” রেবতীর মেয়েলি মুখ লাল হয়ে উঠছিল। “সোহিনী, আমি তোমাকে জিগ গেস করতে যাচ্ছিলুম, আজ সকালে তুমি কি ওকে আফিম খাইয়ে দিয়েছিলে। অমন ঝিমিয়ে পড়ছে কেন ।” “খাইয়ে যদি থাকি সেটা না জেনে।” “রেৰু, ওঠ বলছি ওঠ । মেয়েদের কাছে অমন মুখচোর হয়ে থাকতে নেই। ওতে ওদের আস্পর্ধ বেড়ে যায়। ওর তো ব্যামোর মতো পুরুষের দুর্বলতা খুজে বেড়ায়, ছিদ্র পেলেই টেম্পারেচর চড়িয়ে দেয় হু হু ক’রে। সাবজেক্ট টা জানা আছে, ছেলেগুলোকে সাবধান করতে হয় । আমার মতে যারা ঘা খেয়েছে, মরে নি, তাদের কাছ থেকেই পাঠ নিতে হয়। রেবু, কিছু মনে করিস নে বাবা । ষার কথা কয় ন, চুপ করে থাকে, তারাই সব চেয়ে ভয়ংকর। চল দেখি, তোকে একবার ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। ঐ দেখ, দুটো গ্যালভানোমিটর, একেবারে হাল কায়দার। এই দেখ, হাই ভ্যাকুয়ম পম্প, আর এটা মাইক্রোফোটেমিটর, এ ছেলে-পাস-করাবার কলার ভেল নয়। একবার এখানে আসন গেড়ে বোস দেখি। সেই তোমার টাকপড়া মাথার প্রোফেসর– নাম করতে চাই নে— দেখি কেমন তার মুখ চুন হয়ে না যায়। আমার ছাত্র হয়ে যখন তুই বিস্তে শুরু করলি আমি তোকে বলি নি কি, তোর নাকের সামনে ঝুলছে যাকে কথায় বলে ভবিষ্যৎ । হেলাফেলা করে সেটাকে ফোপর করে দিস নে যেন । তোর জীবনীর প্রথম চ্যাপ টারের এক কোণে আমার নামটাও ছোটো অক্ষরে লেখা যদি থাকে, সেটা হবে আমার মন্ত গুরুদক্ষিণ ।” দেখতে দেখতে বিজ্ঞানী জেগে উঠল। জলে উঠল তার দুই চোখ। চেহারাট।