পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

H + i. f - o r W. i - 1 h r o, r R 1 o' w“ v. l t h * i k ነ f o f o i H * * * * s r r г W , ' ' , , , 'ു (, , , 1 = r- * i o f - اr ۱۰ و به آن ! * - I - .. ; : . H नृ ኽ f r o * * I w l l l q' * to i J : I " * r 'ኣ r * *. I * * ነ * * * | • . ," , r f wn of - f h % * 1 الي , , n 1 * * f l I p. \ | o l m z * o H * * f է o r - o l یi 1 n r r J . i + אל I n w r i w r * *

বিজ্ঞানী সাহেব, এটা নারহরণের রিহর্সলমাত্র-লঙ্কাপারে যাচ্ছি নে, ফিরে আসৰ । তোমার নেমন্তরে।” . . . . রেবতী ছিড়ে ফেললে সেই লেখাটা। হালদারের বাহুর জোর এবং অসংকুচিত অধিকার-বিস্তারের তুলনায় নিজের বিস্তাভিমান ওর কাছে আজ বৃথা হয়ে গেল। : আজি সান্ধ্যভোজ একটা নামজাদা রেস্টোর"াতে। নিমন্ত্রণকর্তী স্বয়ং রেবতী ভট্টাচার্য, তার সম্মানিত। পাশ্ব বর্তিনী নীলা । সিনেমার বিখ্যাত নটী এসেছে গান গাইতে। টেস্ট প্রোপোজ করতে উঠেছে বন্ধুবিহারী, গুণগান হচ্ছে রেবতীর আর তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে নীলার। মেয়েরা খুব জোরের সঙ্গে সিগারেট টানছে প্রমাণ করতে যে তারা সম্পূর্ণ মেয়ে নয়। প্রৌঢ়া মেয়েরা যৌবনের মুখোশ পরে ইঙ্গিতে ভঙ্গির্তে অট্টহাস্তে উচ্চকণ্ঠে পরস্পর গা-টেপটিপিতে যুবতীদের ছাড়িয়ে যাবার জন্যে মাতামতির ঘোড়দৌড় চালিয়েছে । হঠাৎ ঘরে ঢুকল সোহিনী। স্তন্ধ হয়ে গেল ঘরস্থদ্ধ সবাই । রেবতীর দিকে তাকিয়ে সোহিনী বললে, “চিনতে পারছি নে। ডক্টর ভট্টাচার্য বুঝি ? খরচের টাকা চেয়ে পাঠিয়েছিলে, পাঠিয়ে দিয়েছি গেল শুক্রবারে ; এই তো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কিছু অকুলোন হচ্ছে না। এখন একবার উঠতে হচ্ছে, আজ রাত্রেই ল্যাবরেটরির ফর্দ অনুসারে জিনিসপত্র মিলিয়ে দেখব ।” “আপনি আমাকে অবিশ্বাস করছেন ?” "এতদিন অবিশ্বাস তো করি নি। কিন্তু লজ্জাশরুম যদি থাকে বিশ্বাসরক্ষার কথা তুমি আর মুখে এনে না।” । রেবতী উঠতে যাচ্ছিল, নীলা তাকে কাপড় ধরে টেনে বসিয়ে দিলে। বললে, “আজি উনি বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করেছেন, সকলে যান আগে, তার পরে উনি যাবেন।” । এর মধ্যে একটা নিষ্ঠুর ঠোকর ছিল । সার আইজাক মায়ের বড়ো পেয়ারের, ওর মতো এতবড়ো বিশ্বাসী আর কেউ নেই, তাই সকলকে ছাড়িয়ে ল্যাবরেটরির ভায় ওর উপরেই। আরও একটু দেগে দেবার জন্যে বললে, “জান মা ? অতিথি আজ পয়ষটি জন, এ ঘরে সকলকে ধরে নি, এক দল আছে পাশের ঘরে— ঐ শুনছ না হে হে! লাগিয়েছে ? মাথা পিছু পচিশ টাকা ধরে নেয়, মদ না খেলেও মদের দাম ধরে দিতে হয়। খালি গেলাসের জরিমান কম লাগল না। আর কেউ হলে মুখ চুপসে যেত। ওঁর দরাজ হাত দেখে ব্যান্ধের ডিরেক্টরের তাক লেগে গেছে। সিনেমার গাইয়েকে কত দিতে হয়েছে জান ?– তার এক রাত্তিরের পাওনা চারশো টাকা ।”