পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दTजरकोछूक రిశిసె মনে রেখো। ভাত আর আছে তো ? নেই ? আমি যে তোমাকে বেশি করে রাধতে বলে দিয়েছিলুম। আমার প্রসাদ নিয়ে যাবে বলে যে দেশ বিদেশ থেকে লোক এসেছে। যা বেঁধেছ, এর একটা একটা ভাত খুটে দিলেও যে কুলোবে না। রান্নাঘরে যত ভাত আছে সব নিয়ে এসো—, তোমরা সব চিড়ে আনতে দাও, পুকুর থেকে গঙ্গাজল এনে ভিজিয়ে খেয়ো। কী করব বলে। দূর থেকে নাম শুনে প্রসাদ নিতে এসেছে, তাদের ফেরাতে পারব না। কী বললে ? আমার হাতে পড়ে তোমার হাড়, জালাতন হয়ে গেল? কী বলব, তুমি মুখ মেয়েমানুষ, ওই কথাটা একবার দেশের ভালো ভালো পণ্ডিতদের কাছে বলে দেখি। তারা তখনি মুখের উপর শুনিয়ে দেবে, ষাট হাজার সগরসস্তান জলে ভস্ম হয়ে গিয়েছিল, সেই ভস্মে যিনি প্রাণ দিয়েছেন, তিনি যে তোমার হাড় জালাবেন এ কথা কোনো শাস্ত্রের সঙ্গেই মিলছে না। তুমি গাল দাও, আমি আমার ভক্তদের কাছে চললুম। : (বাহিরে আসিয়া ) দেরি হয়ে গেল। বাড়ির মধ্যে এয়ারা সব আবার কিছুতেই ছাড়েন না, পায়ের ধুলো নিয়ে পুজো করে বেলা করে দিলেন। আমি বলি, থাক্ থাক, আর কাজ নেই– তারা কি ছাড়ে ! এসো, তোমরা একে একে এসো, যার যার ধুলো নেবার আছে নিয়ে বাড়ি যাও — কী হে বিপিন ? আজ মকদ্দমার দিন ? তা তো যেতে পারছি নে। দর্শন করতে সব লোকজন আসছে। এক-তরফ ডিক্রি হবে ? কী করব বলে । আমি উপস্থিত না থাকলে এখানেও যে এক-তরফা হয়। বিপনে, তুই যাবার সময় প্রণাম করে গেলি নে ? এমনি করেই অধঃপাতে যাবে। আয়, এইখানে গড় কর, এই নে, ধুলে নে। যা । एडैिौन्न चच्ह ওহে মুখুজ্জে, মা গঙ্গা ঠিক আমার এই খিড়কির কাছটায় না এসে আর রসি দুয়েক তফাতে এলেই ভালো করতেন। তুমি তো দাদা, স্বপ্ন দেখেই সারলে, আমাকে যে দিনরাত্তির অসহ ভোগ ভুগতে হচ্ছে। এক তো, পুকুরের জল দুধে বাতাসায় ডাবে আর পদ্মের পাতায় পচে দুৰ্গন্ধ হয়ে উঠেছে, মাছগুলো মরে মরে ভেসে উঠছে, যেদিন দক্ষিণের বাতাস দেয় সেদিন মনে হয় যেন নরককুণ্ডুর দক্ষিণের জানলা-দরজাগুলো সব কে খুলে দিয়েছে— সাত জন্মের পেটের ভাত উঠে আসবার জো হয়। ছেলেগুলো যে কটা দিন ছিল কেবল ব্যামোয় ভূগেছে। কলিযুগের ভগীরথ হয়ে ডাক্তারের ফি দিতে দিতেই সর্বস্বাস্ত হতে হল ; তারা সব যমদূত,