পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ স্বধৰ্ম্মাচরণ । [ ২য় অঃ রাখেন না। কাজে কাজেই তাহাদের সকল কৰ্ম্মের সংস্কার জন্মে না। নিষ্কাম-চিত্ত পদ্মপত্র তুল্য এবং ফলকাজা-বর্জিত কৰ্ম্ম জলবিন্দু তুল্য জানিবে। ততস্তদ্বপাকামুগুণ নামেবাভিব্যক্তিবাসনানাম্। পাতঞ্জলদর্শন—কৈঃ পাঃ । ৮ । ফলাফলে সেই সকল কৃতকৰ্ম্মের বিপাকের অর্থাৎ ফলোৎপত্তির অমুগুণ (পরিপোষক ) বাসনা সকল অভিব্যক্ত হয়, অবশিষ্ট বাসনা সকল অব্যক্ত থাকে। ইহার তাৎপৰ্য্য বা টীকা এইরূপ,— অযোগী মনুষ্য, শুক্ল, কৃষ্ণ, অধবা মিশ্র, যে কোন কৰ্ম্ম উপার্জন করুন, কোন কৰ্ম্মই এক সময়ে ও একরূপ ফল প্রসব করিবে না। কতক জাতি, জন্ম, আয়ু ও ভোগ প্রসব করিবে,—কতক বা কেবল সেই সেই জন্মের ও সেই সেই জাতির ভোগোপযুক্ত স্মৃতি বা স্মরণাত্মক জ্ঞান উপস্থাপিত করিবে। জন্মজন্মান্তরের সঞ্চিত অসংখ্য কৰ্ম্ম বাসনার মধ্যে কতক মরণকালে অভিব্যক্ত হইয়া পুনর্জন্মের আরম্ভক হয়, কতক বা তজ্জন্মের উপযুক্ত রুচি উৎপাদন করে। মনুষ্যের যে মনোবৃত্তি আমরা এখন প্রবৃত্তি, রুচি, ইচ্ছেদ্রেক ও ভোগেচ্ছা প্রভৃতি বহু নামে উচ্চারণ করি, সে সকল মনোবৃত্তির কারণ পূৰ্ব্ব সঞ্চিত কৰ্ম্মবাসনা। পূৰ্ব্ব সঞ্চিত কৰ্ম্মবাসনা বা কৰ্ম্ম সংস্কার সকল ইহজন্মে উত্তেজিত হইলেই তাহ প্রবৃত্তি।