পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ο δ Ο δ ধৰ্ম্মোক্ত সকল ক্রিয়া কলাপের অনুষ্ঠান বারমাস র্তাহার গৃহে হইত ; আজিও হইয়া থাকে। মহারাণীর মাতা অদ্যাপি জীবিত আছেন। যে সকল রমণীয় গুণ র্তাহার চরিত্রের ভূষণ, সচরাচর একাধারে তাহাপ্রায় দেখা যায় না। পিতা মাতার সাধুজীবনের দৃষ্টান্ত কেমন কার্যকর, তাহাদের পবিত্রতা, তাহদের মহত্ব, তাহাদের ধৰ্ম্মভাব, সন্তানে কতদূর বিকশিত হইতে পারে, মহারাণী শরৎসুন্দরী তাহার উজ্জ্বলতম প্রমাণ। অতি অল্প বয়সে মহারাণীর বিবাহ হয়। তাছার বয়স তখন ছয়বৎসর ; স্বামী স্বৰ্গীয় রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ তখন দ্বাদশবর্ষীয় বালকমাত্র + গল্প শুনা যায়, বিবাহের পূৰ্ব্বে একজন গণক মহারাণীর বৈধব্য গণনা করিয়াছিল। ত্রয়োদশ বর্ষ বয়সে র্তাহার বৈধব্য ঘটে। পিতামহী গণকের গণনা ব্যর্থ করিবার উদ্দেশে স্থির করিয়াছিলেন, বেশী বয়সে পৌত্রীর বিবাহ দিবেন। বলা বাহুল্য তাহা কার্য্যে পরিণত হইতে পারে নাই। পরিণত হইলে বুঝি বঙ্গসমাজ মহারাণী শরৎসুন্দরীর নাম কখন শুনিতে পাইত না । যাহা হউক, কিন্তু তাহাহইলে বুঝি দেবী শরৎসুন্দরী জীবনে সুখী হইতে পারিতেন। পবিত্রতাময়ী মহারাণী শরৎকুন্দরীর গার্হ্যস্থজীবন কেবল দুঃখময় । বাল্যে বিধধা, ধোবনে পিতৃহীনা, হায়! জীবনের সকল ভাগই র্তাহার কেবল দু:খময় । চিরদুঃখিনী সীতার চিত্ৰ মনে করিয়া যে জাতি অনুদিন পবিত্রতার অশ্রুবিসর্জন করেন, সাধবী শরৎসুন্দরীর দুঃখঘন্ত্রণাময় জীবনের ইতিহাস বাস্তবিক সে জাতির অর্চনার সামগ্ৰী । ১২৭২ সালে শরৎসুন্দরীর হস্তে বিষয়ভার তাপিত হয়। সেই অবধি কিরূপ প্রশংসা এবং দক্ষতার সহিত তিনি উস্থা চালাইয়া আসিয়াছেন, এখানে তাহার পরিচয় দিতে হইবে না। গতবৎসর ம்ம்_த --سا=ظست マ万

  • বয়স গণনায় ভুল হইয়াছে। বিবাহকালে রাজার বয়স ১৫শ বর্ষ।