পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ააქ\, মহারাণী শরৎকুন্দরীর জীবন-চরিত। ফাল্গুণে যাত্রা করিয়ী ১৫ই তারিখে বারাণসী ক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন। তিনি কিছুদিন পূৰ্ব্বে অন্নাহার এককালে ত্যাগ করিয়াছিলেন। এবারে তাহার গুরুপত্নীকে সঙ্গে লইয়াছিলেন । তাহার কনিষ্ঠ। ভগিনী, ভগিনীপতি প্রভৃতি অনেক আত্মীয় এবং অনাত্মীয় তাহার সঙ্গে গিয়াছিলেন। তিনি, পুঠিয়া অবস্থিতি কালে অগ্রহায়ণ মাসে তাহার বালিকা পুত্র বধূ, শারীরিক পীড়িত হইয়৷ কাশীধাম হইতে বৈদ্যনাথ ধামে আসিয়াছিলেন । তাতএব কাশীতে গমন করিয়া তিনি স্নেহময়ী পুত্রবধু কিম্বা পৌত্রীকে আর দেখিতে পাইলেন না। তাহার জীবন-দীপ নিৰ্ব্বাণোন্মুখ বলিয়া সংসারের সকল মায়া, সকল মমতা ত্যাগ করিয়াছিলেন ; অতএব পুত্রবধূ ও পৌত্রীকে নিকটে আনিবার চেষ্টাও করিলেন না। তিনি, বারাণসীধামে গিয়া যেন পরম শান্তি লাভ করিলেন। উত্থান সামর্থ্যহীন হইলেও র্তাহার আচার নিষ্ঠার কিছুই ব্যতিক্রম হইয়াছিল না। স্ববশে উঠিবার শক্তি ছিল না, তথাপি দাসীদিগের আশ্রয়ে মল মূত্র ত্যাগের নিয়মিত স্থানে যাইয়া মল মুত্র ত্যাগ করিতেন। আর এরূপ পীড়িত শরীরেও, নিয়মিত নিত্য পূজা, জপ, এবং শৌচাচারের লাঘব করিয়াছিলেন না। এইরূপে দশ দিন মাত্র জীবিত থাকিয়া বিস্তর টাকা দান করিয়া এবং আপনার ত্যক্ত সম্পত্তি ধৰ্ম্মকার্য্যে নিয়োগের ব্যবস্থা অন্তে ১২৯৩ বঙ্গাব্দের ২৫শে ফাল্গুণ দিবা দুই প্রহর দুই ঘটিকার সময়, ৩৭ বৎসর ৫ মাস ৫ দিন বয়সে সংসারের সকল জল, সকল যন্ত্রণ,—সকল কষ্ট হইতে অব্যাহতি পাইয়া কলেবর ত্যাগ করিয়াছিলেন। মহারাণী শরৎসুন্দরীর কলেবর ত্যাগের বৃত্তান্তও, অলোক-সাধারণ দৈবলীলার স্তায় আশ্চৰ্য্যজনক। মৃত্যুর পূর্বদিন, সম্পত্তি কোর্টঅব ওয়ার্ডেশ গ্রহণ করিবেন না, এই বিষয়ের টেলিগ্রাফ পাইয়। অতি