পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। २8 সেই গর্ভে জন্মিয়, সেই দেবীমূৰ্ত্তি সম্মুখে দেখিয়া, সেই সুশীলা জননীর সৎকার্য্যের সহচরী হইয়াই, বাল্যকালে এইরূপ চরিত্র লাভ করিয়াছিলেন। তিনি খেলায় তত অনুরক্ত ছিলেন না; অন্ত সঙ্গিনীর দৃষ্টাস্তে, কখন কখন, পুতুলের সংসারে কর্তৃত্ব করিতেন, ধূলি ইত্যাদি লইয়া রন্ধন পরিবেশনের অনুকরণ করিতেন। কিন্তু, খেল্লাতেও তাহার ধৰ্ম্মনিষ্ঠার অনুষ্ঠান ছিল । খেলা ছলে তিনি, দেব পূজা, জপ, ও ব্ৰতানুষ্ঠান করিতেন । ইহার পর, বাড়ীতে কোনও ব্রত নিয়ম অথবা দেবার্চনাদির উৎসব হইলে, র্তাহার, খেলায় মন থাকিত না । তিনি, মাতার সঙ্গে প্রবীণার দ্যায়, ব্ৰত পূজাদির দ্রব্যজাত আয়োজনে প্রবৃত্ত হইতেন। অন্তের দৃষ্টাস্তে শুদ্ধাচারে ও পবিত্র দেহে থাকিয়া, অতি দক্ষতার সহিত, ঐ সকল কাৰ্য্য করিতেন। শিবরাত্রি এবং জন্মাষ্টমী প্রভৃতির উপবাস জন্য, বিনীত ভাবে পিতা মাতার নিকট আগ্রহ প্রকাশ করিতেন । কিন্তু, পঞ্চম বর্ষীয়। বালিকাকে, কেহই উপবাসের বিধি দিতেন না ; তখন, অন্তে র্তাহার শান্তির লাবণ্যময়ী মুথের মালিন্য দেখিতে পাইত । কিন্তু, হৃদয়ে বিশেষ কষ্ট হইলেও, কদাচ পিতা মাতার নিকট খৃষ্টতা, কি অবাধ্যতা প্রকাশ করিতেন না। যুদয়ের ইচ্ছ। হৃদয়েই দমন করিতেন । এতদ্দেশে ভাদ্র, পৌষ, ও চৈত্র মাসে, পূর্ণিমা অথবা বৃহস্পতিবারে, হিন্দু মহিলাগণ, স্বয়ং লক্ষ্মীর অর্জন করিয়া থাকেন। সেই সময়, পরিবারস্থ স্ত্রীমণ্ডলী, একত্রে বসিয়া লক্ষ্মী চরিত্র সংক্রান্ত কতকগুলি উপাখ্যান আলোচনা করিয়া থাকেন । * সেই উপাখ্যানগুলি “লক্ষ্মীর হিন্দু মহিলাগণের আবাল্য চরিত্র শোধন ও গৃহধৰ্ম্ম করণীয় উপদেশ লাভের, ইহা একটা চমৎকার সদুপায়। সংসারের আবলে যদি কখন সেই উপদেশ ভুলিয়া যান, সেই জগু, চারিমাস পর পর, বৎসরের মধ্যে উহা তিনবার আলোচনার পদ্ধতি আছে।