পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। } (t তোমার মত বালিকা বয়সে কাহার বিবাহই হয় না, অথচ তুমি এই বয়সে এরূপ কঠোর কেন করিতেছ ?—আমি জানি, তোমাদের শাস্ত্রেও বালবিধবার পুনরায় বিবাহের বিধান আছে, অতএব, তুমি পুনরায় বিবাহ করিলেও ক্ষতি নাই।” শরৎসুন্দরী, নত মুখে এই কথা শুনিয়। অধোবদনে কেবল অনর্গল অশ্রমোচন করিতে লাগিলেন। সাহেববনিতা, শরৎস্বন্দরীর প্রকৃতি জানিতেন না ; কিন্তু, এখন দেখিলেন যে, তিনি ঐ কথা বলিয়া ভাল করেন নাই, সুতরাং নানাপ্রকার মিমতির সহিত পুনঃ পুনঃ ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন। ফলতঃ, শরৎসুন্দরীর চিত্ত কিছুতেই আশ্বস্ত হইল না, তিনি, এই দুঃখেই অনুতপ্ত হইতে লাগিলেন যে, তিনি সাক্ষাৎ করিতে সম্মত না হইলে এই সকল কথা শুনিতে হইত না । যাহা হউক, তিনি, সেই দিন হইতে তিন দিবস অনাহারে রোদন করিয়া পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিয়াছিলেন । অতি অল্পদিন মধ্যেই, কালেক্টর সাহেব শরৎসুন্দরীর সুখ্যাতি করিয়া রিপোর্ট করিলেন, এবং তাহাতেই ১২৭২ বঙ্গাব্দের প্রথমে কিঞ্চিদধিক ১৫ বৎসর বয়সে শরৎসুন্দরী কোর্ট অব ওয়ার্তেশ হইতে সম্পত্তির ভার গ্রহণ করেন । সে সময়ে প্রথমে তাহার পিতার ব্যবস্থানুসারেই প্রায় সমস্ত কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ হইত। কিন্তু, সম্পত্তির ভার গ্রহণের পরই, শরৎসুন্দরী, তীর্থ পৰ্য্যটনের অভিলাষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন,ভৈরবনাথ অল্পবয়স্ক বিধবা কন্যার এই অভিলাষে বাধা দিতে পারিলেন না । কেন না, বিধবা হইবার পর হইতে এপর্য্যস্ত তিনি শরৎস্বন্দরীর হৃদয়ে শাস্তি সম্পাদনের যে কোনও আয়োজন করিয়াছেন, তাহাতেই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই । বিধবা হইবার পর, অনেক সময় শরৎসুন্দরী অনাহারে থাকিতেন, ভৈরবনাথ তাহাকে আহার