পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b* মহারাণী শরৎমুন্দরীর জীবন-চরিত। সামান্য বিষয়ে আপনার স্বেচ্ছাচার দমন করিতে না পারিলে ভবিষ্যতের জন্য আপনার হৃদয়ের এক আবরণ ধ্বংস হইবে, সুতরাং তদ্বারা আপনার ভবিষ্যজীবনের গুরুতর অনিষ্ট হইতে পারে। আপনি বিবেচনা করিয়া যাহ। কৰ্ত্তব্য স্থির করুন ।” - বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীর কথায় শরৎসুন্দরী সন্তুষ্ট হইয়া আপনার অভিলাষ প্রত্যাখ্যান করিলেন। তখন বুঝিলেন যে, তিনি মাতৃভক্তিতে অন্ধ হইয়া আপনার হৃদয়ের বীজ মন্ত্র বিস্মৃত প্রায় হইয়া, ছিলেন। তাহার পর হইতে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত র্তাহাকে আর কোন দিন কেহ, কোনও বিষয়ে প্রস্তাবিত রূপ স্বাধীনতা প্রকাশ করিতে দেখে নাই । শরৎসুন্দরী ১২৭৩ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে দত্তক পুত্র গ্রহণ করেন । দত্তক গ্রহণ উপলক্ষে বিস্তর দানাদি করিয়াছিলেন । দত্তকের নাম যতীন্দ্রনারায়ণ রাখিয়াছিলেন। এবং ১২৮১ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে র্তাহার উপনয়ন উপলক্ষে প্রায় ত্ৰিশ হাজার টাকা ব্যয়িত হইয়াছিল । এবং ১২৮৭ বঙ্গাব্দে ২৪শে ফাল্গুনে দত্তক পুত্রের বিবাহেও দেড় লক্ষের অধিক টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন । ফলতঃ এ সকল কার্য্যে তঁাহাকে বাধ্য হইয়া সাধারণের মনস্তুষ্টির কারণ তেীর্য্যত্রিক বিষয়ের আয়োজন করিতে হইলেও, সংস্কৃত-শাস্ত্র-ব্যবসায়ী পণ্ডিতদিগের ও দীন দুঃখীর সাহায্যে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়িত হইয়াছিল। সংস্কৃত শাস্ত্রের উন্নতি এবং যথাসাধ্য দীন দুঃখীর দুঃখ মোচন তাহার প্রধানতম কাৰ্য্য ছিল । ঐ সকল কার্য্যে বঙ্গদেশে ও কাশী, মিথিলা এবং কান্যকুব্জ প্রভৃতি দূরদেশবাসী প্রায় পনর শত পণ্ডিত নিমন্ত্রিত হইয়াছিল। এবং পণ্ডিতদিগের আহারীয় দ্রব্যজাত ব্যতীত শয্যাদি পৰ্য্যন্ত প্রদত্ত হইয়াছিল। রাজকুমারের বিবাহে পণ্ডিত বিদায়েই প্রায় লক্ষ টাকা এবং দীন দুঃখীদিগের বস্ত্র ও নগদ দানে ত্রিশ সহস্র টাকা ব্যয়িত