পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন চরিত"। レア● একজন স্ব-পাকে আহারকারিণী বিধবাকে পৃথক ভাবে অৰ্দ্ধ খণ্ড কাঠাল দিবার অনুমতি করিয়া নিত্য পূজার জন্ত উপবেশন করিয়াছিলেন ; পুরোহিত সহস্রনাম আদি পাঠ করিয়া শুনাইতেছেন । এই সময়ে মহারাণীর অভিপ্রায় অনুসারে যে ব্যক্তি কঁঠাল বিভাগ করিতেছিল, সে, স্ব-পাকে আহারকারিণীকে অৰ্দ্ধ খণ্ড স্থলে একচতুর্থাংশ কঁঠাল প্রদান করিলে, সেই উদ্ধত প্রকৃতি কোপনস্বভাবী কহিল যে “আমায় মা অৰ্দ্ধ খণ্ড কাঠাল দিতে অনুমতি করিয়াছেন, তুমি এত কম কেন দিতেছ?” তাহাতে কঁঠাল দাতৃ কহিল যে, “মা অই পরিমাণই তোমাকে দিতে বলিয়াছেন।” সে সময়ে মহারাণী সহস্রনাম শ্রবণে মেীনী ছিলেন, তিনি সেই কথায় কোন উত্তর করিলেন না দেখিয়া, কোপন-স্বভাব বিধবা র্তাহার প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়া, “কতটুকু কঁঠাল যে দিতে বলিয়াছে, সে কি আর কাণ খাইয়া শুনিতে পাইতেছে না,–চক্ষু খাইয়া দেখিতে পাইতেছে না । এই যার কাঠাল সেই খা’কৃ” বলিয়। সেই কঁঠাল খণ্ড মহারাণীর অভিমুখে ছুড়িয়া ফেলিবামাত্র র্তাহার নিত্য পূজার সমস্ত সজ্জা ছড়াইয়। র্তাহার সর্বাঙ্গ শরীরে পড়িল । কিন্তু তিনি, তাহাতে একটা কথাও বলিলেন না, অষ্ঠ সকলে পূজার অনুষ্ঠান নষ্ট হইল, এখন কি উপায় হইবে বলিয়া নানা আক্ষেপ করিতে লাগিল। কিন্তু, শরৎসুন্দরী মোন ভঙ্গ করিয়া সেই বিধবাকে অৰ্দ্ধ খণ্ড কঁঠাল দিয়া তাহাকে পাক করিবার জন্য নানারূপ সান্থনা করিতে লাগিলেন । পুনরায় আয়োজন করিয়া পূজা করিতে সন্ধ্যা হইয়া গেল । পুরোহিত এই ব্যাপার দেখিয়া ক্রোধে অধৈর্য্য হুইসেন্ম। কিন্তু শরৎসুন্দরী এই প্রকারে কত সময়ে যে, আত্মীয় অনাত্মীয় কত জনের কত প্রকার কটু কথা নীরবে সহ করিয়াছেন, তাহার ইয়ত্তা করা যায় না ।