পাতা:লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লণ্ডনে বিবেকানন্দ পর স্বামীজী কিঞ্চিৎ পরিমাণে ভাব সম্বরণ করিয়া আবার সাধারণ লােকের ন্যায় কথা কহিতে লাগিলেন ও চোখ দুইটা মিটমিট করিয়া মাঝে মাঝে নাসিকা কুঞ্চিত করিতে লাগিলেন। তাঁহার মুখের ভাব-ভঙ্গী ও গলাৰু আওয়াজ যেন প্রকাশ করিতে লাগিল যে এ কথাগুলি বলে ফেলা ঠিক হয়নি, ফস্ করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল। তার পর কথাটা চাপিয়া অন্য কথা বলিলেন। মিস মূলার একেই স্ত্রীলােক তাতে আবার বুড়ী, মেজাজ অত্যন্ত খিটখিটে, কাহার সহিত তাহার বনিবনা হইত না। স্বামীজীর এই কথাগুলি শুনিয়া তিনি তাহার ভাব ও অবস্থা অনুযায়ী উপলব্ধি করিয়া বলিতে লাগিলেন, “এত বুড়ো হয়ে বেঁচে থাকবার কোন আবশ্যক চাই। বুড়াে হােয়ে বেঁচে থাকলে জীবনটা বড় কষ্টকর হয়। এক শ” নংসর বেঁচে থাকা-হাত পায়ের জোর থাকে না, চোখের জোর কমে যাব---না, এতদিন বেঁচে থাকা ঠিক নয়। এক শ’ বৎসর বেঁচে থাকা- আমার শুলে ভয় হয়। স্বামীজী কথার প্রারম্ভেই বলিয়াছিলেন, “কাজ ত সবে শুরু করেছি, আমেরিকাতে ত সবেমাত্র একটা কি দুটো ঢেউ তুলেছি-একটা মহা তরঙ্গ তুলতে হবে-জাতিটাকে উল্টে হবে। জগতকে এবার একটা নূতন সভ্যতা দিতে হবে। শক্তি কি জগত বুঝবে! কি জন্যে আমি এসেছি জগত বুঝবে, পূৰ্ববারে আমি যে শক্তি দেখিয়েছি এবার তার চেয়ে ঢের বেশী শক্তি দেখিয়ে দিয়ে যাব।” এই সকল কথা শুনিয়া সারদানন্দ স্বামী ও বর্তমান লেখকের হতভঙ্গ হইবারই কথা। এইস্থানে কেবলমাত্র সেই সকল তেজঃপূর্ণ কথা অভাষ মাত্র দিলাম কারণ স্বামীজী ঐ ভাবের প্রকৃত কথা ১৫/২০ মিনিট ধরিয়া বলিয়াছিলেন। তাহার পর স্বামীজী কথা বদলাইয়া দিলেন, সন্ধ্যার সময় গাছে ২৩