পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為め8 ব্ৰহ্ম ; অতএব তোমাকে নমস্কার । তুমি শাশ্বত, অনন্ত ও অব্যক্ত তোমাকে নমস্কার। স্থত কহিলেন, ভগবান নারায়ণ, এইরূপ শিবস্তব করিয়া দণ্ডবং প্ৰণিপাতপূর্বক জলস্থিত হইয়া কোটিবার রুদ্র এই মন্ত্রজপ করিলে দেবগণ, ইত্ৰ, যম, রুড়, মরুদ্বগণ ও সাধ্যগণ মিলিত হইয়া পরমেশ্বর শিবকে স্তব করিলেন। দেবগণ কহিলেন, হে শঙ্কর ! তুমি আৰ্ত্তিহারী ও সৰ্ব্বময় ; অতএব তোমাকে নমস্কার ; হে রুদ্র ! নীলরূপী তোমাকে নমস্কার ; রুদ্রগণের মধ্যে তুমি প্রধান ও প্রচেতা ; তুমি আমাদিগের সর্বদ। উপায়স্বরূপ ; হে দেবারিমর্দন ! হে অম্মদৃবন্দ্য ! তুমি আদি তুমি অনন্ত ! অক্ষয় ও প্রভু এবং তোমার অস্ত নাই ; তুমি সাক্ষাৎ প্রকৃতি ও পুরুষ ; তুমি স্রষ্ট হৰ্ত্তা; হে দ্বিজবংসল ! হে জগদগুরে! তুমি ত্ৰাত, নেতা, বরদ ও বাস্ময় ; তুমি বাচ ও বাচ্যবাচক-বর্জিত যোগ-বিভ্রম যোগিগণ মুক্তি-উদ্দেশে তোমার যাগ করিয়া থাকেন ; তুমি ধোগিছংপুণ্ডরীকস্থানে সৰ্ব্বদা অবস্থিত ; পণ্ডিতগণ তোমাকে পরম ব্ৰহ্মরূপী ও সৎ এইরূপ কহিয়া থাকেন। হে বিভো ! এই জগতে তোমাকে তেজোরাশি পরাংপার পরমাত্মা কহিয়া থাকেন । হে জগদগুরো! যা কিছু দেখা যায়, শোনা যায় এবং স্থাবর ও উৎপত্তিমৎপ্রাণিগণ পরিদৃশ্যমান হইতেছে, তৎসমস্তই আপনি। ঋষিগণ, তোমাকে অণু হইতেও ক্ষঙির ও মহৎ হইতেও অতিশয় মহৎ কহিয়া থাকেন। তোমার হস্ত ও পাদ সৰ্ব্বব্যাপক ; অক্ষি, শির, মুখও সৰ্ব্বব্যাপক এবং সমস্তই কৰ্ণময় এবং তুমি সকল ব্যাপিয়া রহিয়াছ ; তুমি সৰ্ব্বজ্ঞ, অনাময় ও মহাদেব এবং অনির্দেশু অর্থাৎ তোমাকে কেহই নির্দেশ করিতে পারে না। বিশ্বই তোমার-স্বরূপ তুমি বিরূপাক্ষ ও ,কোটিভাস্করসদৃশ آقا به دسیسهه TF۹ কোট শতাংশুতুল্য ও কোটি কালাসিম, তুমি ষড়বিংশ তত্ত্বস্বরূপ ও ঈশ্বর হইতেও অতিরিক্ত এই জগতে তুমিই প্রকৃতির প্রবর্তক ও প্রপিতামহ ; তুমি স্বয়স্থ সমস্ত জগং তোমাতেই বিদ্যমান, তুমি ভীষ্টদাতা। শ্রুতিনিকর এইরূপে তোমাকে নির্দেশ করেন। শ্রুতি-সারবিং মনুষ্যগণ, তোমাকে শ্রুতিসার কহিয়া থাকেন। হে অনন্তবিগ্রহ ! আমরা তোমাকে নয়নগোচর করিতে পারি না, আপনি ব্যতিরেকে ইহজগতে এমন কিছু নাই অর্থাৎ তোমা হইতে সমস্তই উৎপন্ন ; হে শস্তো! তুমি অনুরোক্তমদিগকে হনন করিয়া দৈত্য, মুর ও ভূতগণকে এবং দেব লিঙ্গপুরাণ মনুষ্য স্থাবর ও জঙ্গমদিগকে রক্ষা কর; আমাদিগের তুমি ভিন্ন জন্ত উপায় নাই। হে পরমেশ্বর! আপনার মায়ায় সকলই মোহিত হইয়াছে। হে দেব ! ধেমনু তরঙ্গ ও লহরীসমূহ সমুদ্রে পরস্পর জড়ীকৃত হইয়া যুদ্ধ করে, অদ্রুপ স্বরামুরগণ পরস্পর জড়ীকৃত হইয়া যুদ্ধ করিতেছে। হে অজ! এই সমস্ত তোমারই খেলা। সুত কহিলেন, যে নর, প্রাতঃকালে গাত্রোথানপুৰ্ব্বক শুচি হইয়া এই স্তব জপ করে বা শ্রবণ করে, তাহার সৰ্ব্বকাম লাভ হয় । উমাসহিত মহেশ্বর সুরগণ কর্তৃক এইরূপ স্তুত ও বিষ্ণুজপে প্রসন্ন হইয়৷ উমাকে আলিঙ্গন করিলেন । অনন্তর তিনি নন্দিগাত্রে একটা হস্ত অপর্ণ করিয়া ঈষৎ হাস্য করত গম্ভীর বাক্যে তাহাদিগকে কহিতে লাগিলেন ; হে সুরেশ্বরগণ! আমি এখন দেবকার্য জ্ঞাত হইলাম ও ধীমান্‌ বিষ্ণুও নারদের মায়াবলও জানিতে পারিলেন। হে দেবোত্তমগণ ! আমি অধৰ্ম্মনিষ্ঠ সেই দৈত্যগণের পুরত্রয় বিনাশ করিব। স্থত কহিলেন অনস্তর তাহার বাক্য শ্রবণে সব্রহ্ম দেবগণ, ইন্দ্র ও উপেন্দ্র ইহারা একত্র সমাগত হইয়া প্রণাম ও স্তব করিলেন। ইহার মধ্যে উমা দেবী তাহাকে দর্শনপূর্বক ঈষৎ হান্ত করত লীলাম্বুজম্বারা আঘাত করিয়া বৃষধ্বজকে মধুরবাক্যে কহিতে লাগিলেন ; হে বিভো! রবিস্তুল্য তেজস্বী, ক্রীড়াপরায়ণ মংপুত্র ষন্মুখকে অবলোকন কর। উত্তম মুকুট, কটক, কুণ্ডল ও শুভ বলয়, এই সকল ভূষণ ইহার অঙ্গে যথাস্থানে সন্নিবেশিত হইয়া রমণীয়দর্শন হইতেছে। নপুর ছন্নবার, উদ্ববন্ধন কিঙ্কিণী ও হৈম অশ্বথপত্র এই সকল স্থশোভন ভূষণে ভূষিত মতপুত্রকে দর্শন কর। হে মহাদেব! কল্পদ্রুমজাত পুষ্পে শোভিত, অলক্ষে সুশোভিত, পদ্মরাগাদিমণিজালে উজ্জ্বলীকৃত হার ও অঙ্গদে ভূষিত, পূৰ্ণচন্দ্রসমপ্রভ মুক্তফলময় হার ও তিলকে শোভিত এবং কুঙ্কুমাদি লেপনে অঙ্কিত পুত্রকে বিলোকন কর। ভস্মনিৰ্ম্মিত বর্ভুলতিলক ভালে শোভা পাইতেছে ; হে ঈশ! কমলবৃন্দসদৃশ ইহার বক্রবৃন্দ দেখ। ১০৯—১২৬ । হে বিভো! তুমি ইহার শুভ লোচনসমূহ এবং গঙ্গাদি কৃত্তিকাদি, বহ্নিপত্নী স্বাহ এবং ষোড়শ-মাতৃগণকর্তৃক অঙ্কিত মঙ্গলার্ধ শুভ ও চিত্র অঞ্জন দর্শন কর। শিব এই প্রকার লোকমাতার বাক্যে সম্বোধিত হইয়া কাৰ্ত্তিকে-মুখামৃত পান করিলেণ্ড তৃপ্তিলাভ করিতে পারলেন না এবং দৈত্য-শাস্ত্র-নিপীড়িত দেবগণকে বিস্তৃত হইলেন।