পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"לל צ সবাহনে সেই মাতার অনুগমন করিলেন । সিংহারূঢ় অতিীর্ঘ্যবর্তী অঙ্কুশ শূল-পাশ-কুঠার-চক্ৰ-খড়গ-শঙ্খধারিণী মহাপরাক্রমা বালা দুর্গ মধ্যাহ্ন সূৰ্য্যসদৃশ সহস্রবহিবং নেত্র দ্বারা যেন পথ দগ্ধ করিতে করিতে দৈত্যনালে গমন করিলেন। তখন দেবেন্দ্র-সদৃশ মুখ্য প্রমথগণ হস্তী অশ্ব সিংহ ও বুষে আরোহণ করিয়া ত্রিপুরনাশে দেবদেবের অনুগমন করিল। পৰ্ব্বতসমিড হুরেশ্বর ভূতেশ্বরেরা গিরিশৃঙ্গের স্থায় মুষল হলাহল হস্তে গমন করিল। ইন্দ্র ব্রহ্ম বিষ্ণু প্রভৃতি গণনায়ক দেবতারা কিরাটবদ্ধাঞ্জলি হইয়া চতুর্দিকে জয়ধ্বনি করিতে লাগিলেন। হে বিপ্রেন্দ্রগণ! দগুইস্তে জটাধারী মুনির নৃত্য করিতে লাগিলেন। খেচর সিদ্ধচারণের পুষ্পবৃষ্টি করিতে লাগিল। তৎকালে যেন ত্রিপুর ধ্বনিত হইতে লাগিল। সৰ্ব্বগণবৰ্য্য গণেশ্বর ও স্বগণে পরিবৃত ভূঙ্গী, মহেন্ত্রের ন্যায় বিমানে আরোহণ করিয়া ত্রিপুরনাশে গমন করিলেন। কেশ, বিগতবাস, মহাকেশ, মহাজর, সোমবল্পী, সবর্ণ, সোমপ, সেনক, সোমপ্রকৃ, স্থৰ্য্যবাকৃ, স্বৰ্য্যপেষণক, সূৰ্য্যাক্ষ, শুরিনাম, সুর, সুন্দর, প্রকুদ, ককুদও, কম্পন, প্রকম্পন, ইন্দ্র, ইন্দ্রজয়, মহাভী, ভীমক, পঞ্চাল, শতাক্ষ, সহস্রাক্ষ, মহামুণ্ড, দীর্ঘ, পিশাচান্ত, যমজিহ্ব, মহোদর, শতাশ্ব, কণ্টন, কণ্ঠপুজন, শিখ, ত্রিশিখ, পঞ্চশিখ, মুগু, উৰ্দ্ধগু, অক্ষপাদ, পিনাকম্বুকু, পিপ্পলায়ন, অম্বারকশন, শুিথিল, শিথিলান্ত, ভূজ, কুজ প্রভৃতি প্রমথাধিপগণ মহাৈ অনুগমন করিলেন । ৬১–৮১ । অজবক্র, হয়বক্র, গজবক্র, উৰ্দ্ধবক্র, প্রভৃতি অলক্ষ্যলক্ষণান্বিত প্রমধগণ মহাদেবকে আবরণ করত গমন করিলেন উৰ্দ্ধরেত সহস্ৰ সহস্র রুদ্রগণ সিদ্ধাদিগণাবৃত হইয়া উমাসহচর মহাদেবকে বেষ্টন করিয়া মহাদেবের অনুগমন করিলেন। এই প্রকার কোটি কোটিগণ ত্রিপুর দহন করিতে দেবদেব মহাদেবের অনুগমন করিল। অষ্টবহু, একাদশ রুদ্র, দ্বাদশ আদিত্য, ব্রহ্ম, বিষ্ণু, রুদ্র, অপরাপর তিন সহস্র তিনশত দেবতা চতুর্দিষ্ক ব্যাপিয়া গমন করিতে ব.গল। সৰ্ব্বলোক মাত, ও ভূতদিগের মাতারা মহাদেবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিলেন । নিৰ্ম্মলাকাশে চক্ষ যেমন নক্ষত্রমধ্যে শোভা ধারণ করেন, মহাদেরও বৃথমধ্যবর্তী হইয় সেইরূপ গগনমধ্যে প্রকাশ পাইতে লাগিলেন। তৎকালে বিশ্বরূপ হিমালয় মদিনী গৌরী, স্বপ্রভাবে শিবের স্তায় তাহার বাম লিঙ্গপুরাণ । শোভা পাইতে লাগিলেন। গুড্ৰমেশ্বখণ্ড যেমন বিদ্যুৎসংসর্গে শোভিত হয়, বিভুর তমসাচ্ছাদিত শরীর তদ্রুপ অম্বিক দ্বারা প্রকাশ পাইতে লাগিল। যেমন ইন্দ্ৰধনুদ্বারা আকাশ, মেরুদ্বারা জগৎ শোভিত হইয়া থাকে, তদ্রুপ হিরণ্যধনুর প্রড়ায় চন্দ্রবৎ কমনীয় শস্তুর শরীর শোভিত হইয়াছিল এবং যেমন চশ্রোদ্বয়ে আকাশমণ্ডল শোভাধারণ করে, সেইরূপ তাহা শ্বেতাতপত্র রত্নকিরণে দেদীপ্যমান হইয়াছিল। ৮২—১১ । সেই ছত্রের দুকূলবসনলম্বিত রক্তাংশুবিভাসিত রত্নমালা ও আকাশ হইতে পতিত গঙ্গার স্থায় শোভ ধারণ করিল। অনস্তুর তাহার পাদপদ্ম ব্ৰহ্মা মহূেত্র বিভাবসু প্রভৃতি নমস্কার করিতে লাগিলেন এবং তিনিও সৰ্ব্বলোকের হিতকামনায় অস্বার সহিত ত্রিপুরদহনে গমন করিলেন। এই সময়ে ব্রহ্মা, ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ পরস্পর কথোপকথন করিতে লাগিলেন যে, ত্রিশুলী মনে করিলে ক্ষণকালমধ্যে ঐ সমস্ত জগৎকে দগ্ধ করিতে পারেন। তবে কেন সামান্ত ত্রিপুরদহনে নিজে ও সগণে গমন করিলেন। র্তাহার রথই বা কি নিমিত্ত, বাণই বা কি নিমিত্ত, স্বগণ ও দৈবগণই বা কি নিমিত্ত ; যেহেতু তিনি নিজে অসীম ক্ষমতাশালী। বোধ হয় ভগবান পিনাকী লীলাপ্রকাশের নিমিত্ত ঐ সকল ব্যাপারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। নচেৎ এই সকল আড়ম্বরে তাহার প্রয়োজন কি ? অনন্তর জয়দ্রথ মহাদেব, নন্দি-প্রমুখ দেবগণের সহিত পুরুত্ৰয়ের সমীপবৰ্ত্তী হইলেন এবং অষ্টশৃঙ্গ মেরুর স্তায় শোভা পাইতে লাগিলেন। দেবগণ অদ্রিসুত-সহিত স্বগণবৃত ঈশ্বরকে ত্রিপুর মধ্যবর্তী দেখিয় তাহার অনুগমন করিল। রাজগণ, সিদ্ধাদিগণ ও দেবগণবিশিষ্ট সমস্ত জগত্ৰয়ের ন্যায় দৈত্যত্রয়বিশিষ্ট সেই ত্রিপুর সম্যকৃ শোভমান হইতে লাগিল। ৯২–১০০ । অনস্তর মহাদেব ধনু সজ্জিত করিয়া পশুপাতাস্ত্র যোগ করিয়া ত্রিপুর বিরয় চিন্তা করিতে লাগিলেন। সেই রৌদ্র মূৰ্ত্তি মহাদেব কাপ্পুক বিস্তৃত করিয়া স্থিতি করিলে পর, সেই সময়েই শীঘ্র তিন পুর এক হইয়া গেল। সমীপগত তিনপুর এক হইয়া যাইলে মহাত্মা দেবতা দের বিপুল হর্ষ হইয়াছিল। তারপর সকল দেবতার, সিদ্ধগণ ও মহৰ্ষিরা জয়ধ্বনি করিলেন ও অষ্টমূৰ্ত্তি মহাদেবের স্তব করিতে লাগিলেন। ভগবান ব্রহ্ম, আগত পুষ্যযোগেও মহাদেবকে লীলাবশ মেথিয় বললেন, হে মহাদেব হে পরমেশ্বর! আপনার এই চেষ্টা যুক্তিযুক্ত; যেহেতু দৈত্য ও বেতারা আপনার নিকট সমান! অহা হইলেও দেবতারা ধঞ্চি,